বছরের শেষ প্রায় চলেই এসেছে। পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটিতে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসার সুবর্ণ সুযোগ এখন। কিন্তু, ভ্রমণ আপনাকে জীবাণু এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে আনতে পারে। তার সাথে আপনার খাদ্য ও ব্যায়ামের দৈনন্দিন রুটিনকেও ব্যাহত করতে পারে। এতে আপনার মজার ভ্রমণ মাটি হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, ফিরে এসে ভুগতে পারেন নানা অস্বস্তিতে।
‘অ্যাডভান্সড ইনফেকশাস ডিজিজ মেডিকেল’ এর এমডি আভিষেহ্ ফ্রৌযেশ, ভ্রমণ-সম্পর্কিত রোগ এড়াতে কী করণীয় সে পরামর্শ দেন-
ঘুম
যখন দৌড়াদৌড়ি বেশি করা পরে তখন শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই কখনোই ভ্রমণের আনন্দে মত্ত হয়ে ঘুম এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তাই যখনই প্রয়োজন বোধ হবে তখন বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। ঘুমানোর আগে আপনার স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তার সাথে অ্যালকোহল এবং ক্যাফিনযুক্ত পানীয়গুলিও এড়ানো উচিত। এগুলো আপনার ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে।
হাঁটা
বাড়িতে থাকুন বা ভ্রমণে ব্যায়াম শরীরের জন্য ভাল এবং অত্যাবশ্যকীয়। তাই, শরীরকে নড়াচড়া করাতে ভুলবেন না। যেমন, কাছাকাছি দূরত্বের জায়গাগুলোতে গাড়ি নেওয়ার বদলে হেঁটে যান। এবং অবশ্যই লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি নেওয়া উচিৎ।
সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তা হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বিশেষ করে যখন আপনি ভ্রমণ করছেন। আপনার দিনটি কোনোভাবেই খালি পেটে শুরু করবেন না। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই পুরোদিন শরীর চালানোর মতো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য খোরাক গ্রহণ করা উচিৎ।
প্রচুর পানি পান
ভ্রমণের সময় পানিশূন্য হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে ভুলবেন না। অবশ্যই একটি বড় গ্লাস পানি পান করে দিন শুরু করুন এবং সর্বদা সাথে একটি পানীর বোতল বহন করবেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
ভ্রমণের সময় সুস্থ থাকা মানেই স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করা। যখন প্রতিবেলাই বাইরে খাচ্ছেন তখন সঠিক খাবার বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। প্রচুর তাজা ফল এবং সবজি খাওয়ার বিকল্প কিছু হতে পারে না। যখন বাইরে বের হবেন, শক্তি বজায় রাখতে কিছু আপেল, কমলা, কলা বা বাদাম সাথে রাখতে ভুলবেন না।
হাত ধোয়া
ভ্রমণের সময় শরীর প্রচুর ধূলা-বালি, জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসেন। যেহেতু অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হচ্ছে, তাই শুধু গোসল করা পর্যাপ্ত নয়। অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে, আপনার হাত প্রায়শই ধুয়ে নিন।বিশেষ করে খাওয়ার আগে। ভেজা টিস্যু বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বহন করুন যাতে সাবান এবং পানির অভাব থাকলেও অসুবিধা না হয়।
স্বাস্থ্য সচেতনতা
ভ্রমণের পূর্বে স্থান নির্বাচনে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কোনো বিশেষ রোগের আধিক্য দেখা গিয়েছে এমন জায়গা গুলো বর্জনীয়। অথবা, গেলেও পূর্বেই প্রতিশেধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি বহন করতে হবে।
তথ্যসূত্র: এআইডিএম