করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্বকে হতে হয়েছিল গৃহবন্দি। একাকিত্ব কতখানি হতাশা এনে দিতে পারে অনুধাবন করেছে সকলে। দিনের পর দিন কারো সাথে দেখা না হওয়া, বাইরে যেতে না পারা এত পীড়াদায়ক হতে পারে, ধারণা ছিল না অধিকাংশের। সেই থেকেইে “একাকিত্ব” সমস্যাকে আমলে নেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রতি ৪ জনে ১জন প্রাপ্ত বয়স্ক একাকিত্বের সম্মুখীন হন। স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১৫% কিশোররাও একাকিত্বের শিকার। ৩০% অপ্রাপ্ত বয়সের মুত্যুও একাকিত্বের হতাশা দ্বারা প্রভাবিত। প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বে এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এর ফলে, দেশে জনপ্রতি আয়ও প্রভাবিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশন বা হু তাই এই ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে। “যেকোনো কেউ যেকোনো জায়গায় গৃহবন্দি বা একাবোধের শিকার হতে পারে।”, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্তার ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছিল।
“যেকোনো স্থানের ও বয়সের মানুষের প্রতিই একাকিত্ব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে উৎফুল্ল রাখা প্রয়োজন। যা একাকিত্ব ও নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখলে সম্ভব নয়।“ -সংযুক্ত ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ‘একাকিত্ব’ শিঘ্রই পুরো বিশ্বের একটি ভয়ংকর সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বজুড়ে অপ্রাপ্ত বয়সে মৃত্যু, হৃদ সমস্যা, স্ট্রোকের মতো সমস্যার সংখ্যাকে প্রভাবিত করতে পারে একাকিত্ব। গত বৃহস্পতিবার নাগরিক স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দেয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও একাকিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ইউএসএ, জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, জাপান, সুইডেন, চিলি, মরক্কোর মতো ‘হু’ এর সংশ্লিষ্ট ১১টি দেশ সামাজিক যোগাযাগের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘হু’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা ডিসেম্বরের ৬ তারিখ প্রথমবার একত্রিত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে তারা সারা বিশ্বের একাকিত্বের তথ্যের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করবেন।