সবার প্রশংসা পেতে এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সমাজে পরিচিতি লাভ করার স্বপ্ন সবাই দেখে। কিন্তু আগে নিজেকে নিজের পরিধি জানতে হবে। প্রচেষ্টা, হার না মানা পরিশ্রম, চর্চা ও একাগ্রতার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা প্রভাবিত করা যায়। মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করণে কিছু ‘ব্রেন এক্সারসাইজ’
বয়স অনুযায়ী ধাঁ ধাঁ ও পাজল জাতীয় খেলা মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন ১ বছর বয়সীদের জন্য ৬ অংশের পাজল ছোট থেকেই মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করা শুরু করে। আবার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আরও বেশি সংখ্যার পাজল রয়েছে। তাছাড়া এখন আধুনিক আরও চর্চার মাধ্যম আছে। যেমন সুডোকু, ক্রসওয়ার্ড বা যৌক্তিক খেলাসমূহ। এতে আপনার মস্তিষ্ক জটিল সমস্যা সমাধান করার চর্চা করে। ফলে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ও স্মৃতিধারণ ক্ষমতা বাড়ে।
কোনো ধরণের খেলা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, নতুন ভাষার চর্চা- এরকম নতুন কিছু যখন আপনি শেখা শুরু করেন তখন আপনার ব্রেইন নতুন তথ্য জোগাড় করতে শুরু করে। এতে আপনার মস্তিষ্কের বিভিন্ন ভাগ উদ্দীপ্ত হয়।
বই পড়ার অভ্যাস যেমন জ্ঞানের পরিধিকে বড়ো করে করে তেমন মস্তিষ্ককেও বিকশিত করে। প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস খুব চমৎকার। এর মাধ্যমে নতুন আইডিয়া তৈরি হয়। তাছাড়াও কল্পনা, অনুধাবণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
সামাজিক কার্যক্রম ও আলোচনা আপনার মস্তিষ্ককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘটমান অনেক তথ্য প্রদান করে। বিতর্ক, কুইজ, আলোচনায় নিজেকে নিয়োজিত করলে যুক্তিখন্ডন, কথপোকথনে গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য চেনার মতো দক্ষতা বাড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের শুধুমাত্র ক্ষতিকর প্রভাব আছে তা ঠিক নয়। প্রায়িই গ্যেম খেলার জন্য অবিভাবকরা ছেলেমেয়েকে বকাবকি করে। কিন্তু অনেক ব্রেইন ও মেমোরি গ্যেম আছে তা মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। শব্দের খেলা, জটিল ধাঁ ধাঁ, বুদ্ধিদীপ্ত গ্যেম ইতিবাচক হিসেবে গণ্য হয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া