কয়েক ঘন্টা পরেই শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বিশেষত এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভোট প্রদান ঘিরে ভোটারদের মাঝে বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোট দেওয়ার কিছু সাধারণ নিয়ম থাকে। যা মেনে চলা প্রয়োজন প্রতিটি ভোটারের। যারা এ বছরেই প্রথম ভোটার হয়েছেন এবং প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাবেন, তাদের সুবিধার জন্য কিছু নিয়ম জানানো হলো।
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই মনে করে সঙ্গে নিজের ভোটার স্লিপটি নিতে হবে। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ড কাউন্সিল থেকে ভোটার স্লিপ বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। বেশিরভাগ এলাকার প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে ভোটারদের মাঝে তা সরবরাহ করে থাকেন।
যদি কোন কারনে ভোটার স্লিপ না পেয়ে থাকেন তবে নিজ এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিল, ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যান কার্যালয় থেকে খোঁজ থেকে ভোটার স্লিপটি সংগ্রহ করে নিতে হবে।
অনেকেই হয়তো ভাববেন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া ভোট প্রদান করা যাবে না। যা একেবারেই ভুল ধারণা। ভোটার স্লিপ থাকলেই স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট প্রদান করা যাবে। তবে ইভিএম এ ভোট প্রদান করার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা ভালো।
অনেকেই হয়তো ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় বড় ব্যাগ, ব্যাগে পানির বোতল, ছাতা ও পাখা নিয়ে যেতে পারেন। ভোটকেন্দ্রে বাড়তি এই সকল জিনিস বহন না করাই ভালো। নইলে চেকিং এর সময় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মূলত ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় ভোটার স্লিপ ব্যতীত সঙ্গে বাড়তি আর কোন কিছুই রাখা যাবে না। যেকোন ধরণের দাহ্য পদার্থ যেমন ম্যাচ, লাইটার ও ধারালো বস্তু যেমন ছোট ছুরি, ব্লেড সঙ্গে রাখা যাবে না।
মোবাইল ফোনটাকেও রেখে যেতে হবে বাসায়। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল বহন করা, ছবি তোলা, চেকইন দেওয়া, কাউকে কল দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি বিশেষ প্রয়োজনে মোবাইল সঙ্গে রাখতেও হয়, মোবাইল সুইচড অফ করে রাখতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য পোশাকের ক্ষেত্রে তেমন কোন বিধিনিষেধ বা নির্দেশাবলী নেই। নিজের রুচি ও পছন্দমাফিক পোশাকেই ভোটকেন্দ্রে যাওয়া যাবে। তবে নেকাব পরিধানকারীদের হয়তো পোলিং এজেন্টের অনুরোধে নেকাব খুলে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন হতে পারে।
পছন্দসই প্রার্থীর মার্কায় সিল দেওয়ার পর ব্যালট পেপার ঠিকভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বক্সে ফেলতে হবে অবশ্যই। ব্যালট পেপারে এমনভাবে সিল দিতে হবে এবং পেপারটি এমনভাবে ভাঁজ করতে হবে যেন সিলের কালি পেপারের অন্য পাশে না ছড়ায় এবং কালি দেখা না যায়।