নারীর সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে একটুখানি কাজলই যথেষ্ট। দুই চোখে হালকা কাজল যেকোনো মেয়েকেই আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। কাজল ছাড়া মেকআপ যেন অসম্পূর্ণ। এটি সজ্জার অন্যতম একটি অংশ। আবার অনেকে এমন রয়েছেন যারা মেকআপ করতে খুব একটা পছন্দ করেন না। শুধুমাত্র চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
কাজল শুধু আজ থেকে নয় এটি প্রাচীনকাল থেকেই নারীর সৌন্দর্য চর্চার অন্যতম উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে কিনে আনা কাজল চোখে দেওয়া মাত্রই চোখ জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে।
অনেক সময় চোখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়। যাদের কাজল পরার ক্ষেত্রে অ্যালার্জি (Allergy) রয়েছে তারা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন প্রায়ই। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি নেই তারাও অনেক সময় বাজার চলতি কেনা কাজল পরে বিপদে পড়তে পারেন। কারণ এই কাজল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যেগুলো চোখের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। এতে চোখে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে গেলে সবথেকে সহজ উপায় হল দোকান থেকে কাজল কেনা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে ঘরেই তৈরি করে নিন কাজল।
সামান্য কিছু উপকরণ আর একটু সময় হাতে থাকলেই তৈরি করা যাবে কাজল। চলুন জানা যাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজল তৈরি করা যায়। যা আপনার সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে চোখকেও আরাম দিবে।
যেভাবে কাজল তৈরি করবেন
প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল দিয়ে কাজল তৈরি করা যায়। এর জন্য একটা মোমবাতির উপর সামান্য ক্যাস্টর অয়েল গরম করুন। ক্যাস্টর অয়েল রাখা পাত্রের উপর একটা প্লেট রাখতে হবে। আর সেই প্লেটের উপরে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে জেলটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অ্যালোভেরা পুড়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক কাজল। এছাড়াও কর্পূরের কাজল , ঘিয়ের কাজল এবং সরষের তেলের কাজল তৈরি করা যায়। এই ধরনের কাজলগুলো শিশুদের চোখে দিলে তাতে শীতলতা পাওয়া যায়। আর এই কাজল ব্যবহারে চোখে কোন ধরনের জ্বালাপোড়া হবে না।
তথ্যসূত্র- প্রথম কলকাতা