বছরের শেষে শীতল আবহাওয়া আর উত্তরে বাতাস বয়ে নিয়ে আসে শীতকাল। শীত উপভোগ করার পাশাপাশি এই ঋতুতে আমাদের সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সময় অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য খাদ্যতালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এজন্য একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে শুকনো ফল এবং বাদাম। কারণ ভিটামিন এবং খনিজগুলোর আধিক্য আছে এসব খাবারে, যা স্বাস্থ্যে অবিশ্বাস্য প্রভাব ফেলতে পারে। শীতকালে শরীরকে উষ্ণ, পুষ্টিকর এবং ময়শ্চারাইজ রাখতে সহায়তা করে এসব ড্রাই ফ্রুটস।
১.কাঠবাদাম: এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং উপকারী চর্বি রয়েছে যা স্বাস্থ্যে অবদান রাখে। ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিতে ভরপুর কাঠবাদাম। বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। তাই শীতের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন ।
২.খেজুর: ঠাণ্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে, আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়ই জয়েন্টে ব্যথা বাড়তে পারে। এর প্রতিকার করে খেজুর, যাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে। তাই ব্যথা এবং অস্বস্তি দূর করার জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিকার। এছাড়াও খেজুর ঠান্ডায় শরীরে প্রয়োজনীয় উষ্ণতা প্রদান করে।
৩.পেস্তাবাদাম: পেস্তায় বহু উপকারী উপাদান রয়েছে। এই বাদাম আপনার সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে। হার্টের স্বাস্থ্য, ত্বকের যত্ন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে পেস্তা। এর স্নেহ শরীরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা বজায় রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে। যা একে শীতের জন্য একটি আদর্শ নাস্তা হিসেবে পরিচিত করে।
৪.হ্যাজেলনাট: কম তাপমাত্রার পরিবেশে হেজেলনাট একটি আরামদায়ক এবং পুষ্টিকর খাবার। কারণ এটি শীতকালীন অবসাদ দূর করে। স্বাদ ও স্বাস্থ্য উভয়দিক বহনকারী এই বাদাম একটি উন্নতমানের ড্রাই ফ্রুট।
৫.ডুমুর: কপার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার হলো ডুমুর। ডুমুর শরীরের উষ্ণতায় অবদান রাখে। এছাড়াও সর্দি, হাঁপানি, জ্বর এবং যক্ষ্মা রোগের মতো সমস্যায় সুরক্ষা প্রদান করে। সাধারণ শীতকালীন রোগগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
তথ্যসূত্র- নিউজ১৮