কথায় বলে, 'মাছে-ভাতে বাঙ্গালী'। আমাদের ভাত ছাড়া যেন খাওয়া সম্পন্ন হয়না। সারাদিনে যত কিছুই খাওয়া হোক না কেন, দিনে অন্তত এক বেলা পাতে ভাত চাই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে কিছু কমন সমস্যা দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ডায়বেটিস। আমাদের দেশে সাধারণত টাইপ-২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয় বেশি। এই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তাররা মূলত ভাত খাওয়া কমিয়ে দিতে বলে। কারণ চালে থাকা গ্লাইসেমিক শরীরের ইনসুলিনের উৎপাদনকে ব্যাহত করে।
ভারতীয় ডাক্তার মেডিসিন ত্রিভুবন গুলাটি বলেছেন এমন কিছু উপায়। যেন ডায়বেটিস রোগীরাও উপভোগ করতে পারেন গরম গরম ভাত। কিছু বিশেষ উপায় অবলম্বন করলেই এই শ্বেতসার খাদ্য উপাদানের স্বাস্থ্য হানিকারক প্রভাব রোধ করা সম্ভব। এজন্য আপনাকে চাল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
ব্রাউন রাইস
সাদা ভাতের সবচেয়ে ভালো বিকল্প হচ্ছে বাদামী চাল। কারণ ব্রাউন রাইসে গ্লাইসেমিকের পরিমাণ কম থাকে। তাই রক্তে চিনির স্তর কম পড়ে। এতে পর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরণ হয় এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।
বাসমতি চাল
লম্বা এই চাল স্বাদ ও গন্ধে অনন্য। দাম একটু বেশি হলেও ডায়বেটিস রোগীরা ভাত হিসেবে এই চাল উপভোগ করতে পারেন।
বন্য চাল
ওয়াইল্ড রাইসকে যদিও ভাত বলা চলে না। তবে এই চাল ফাইবারে পরিপূর্ণ। এই খাবারে কিছুটা বাদামের ফ্লেভার আছে।
মিক্সড গ্রেইন
ব্রাইন রাইস, ওয়াইল্ড রাইস ও অন্যান্য শস্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয় মিক্সড গ্রেইন রাইস। অনেক ধরণের শস্যের সমাহারের কারণে এই খাবারে পুষ্টি ও স্বাদ পরিপূর্ণ থাকে।
তথ্যসূত্র:দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস