তা স্বত্তেও ময়লা থালাবাসন ধোয়ার সময় বিভিন্ন ধরণের ময়লা ফেলাই হয় সিংকে। যার দরুন সিংকের পাইপ ঘনঘন ব্লক হয়ে যায়। এতে করে ঝামেলায় পড়তে হয় নিজেকেই।
তবে খাবারের বিভিন্ন ধরণের ময়লার মাঝে দুইটি ময়লা একেবারেই ফেলা উচিৎ নয়। যা আলাদাভাবে সিংকের পাইপকে বন্ধ করে ফেলে। একটি হচ্ছে বিভিন্ন মাংসের ঝোল ও চর্বি। দ্বিতীয়টি হলো সবজির খোসা।
বিভিন্ন ধরণের মাংস রান্নার ঝোলের সঙ্গে থাকে গলিত চর্বি এবং আলাদাভাবে ছোট টুকরো চর্বি তো থাকেই। এই চর্বিগুলো নির্বিঘ্নে সিংকে ফেলে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন। এখন ঠাণ্ডার সময়। এই ঝোল ও চর্বিগুলো তরল অবস্থাতে থাকলেও, সিংকের ভেতরে পানির স্পর্শে ও ঠাণ্ডা স্থানে যাওয়ার ফলে খুব দ্রুত জমে যায়। যা সিংকের পাইপের মাঝে শক্তভাবে আটকে যায়। কয়েক পরত চর্বি জমে যাওয়ার পর একদিন হুট করেই দেখবেন সিংকের পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন ধরণের সবজির খোসা। সবজির বড় খোসাগুলো সিংকের ঝাঁঝরি দিয়ে পাইপে প্রবেশ করতে না পারলেও, ছোট ও চিকন টুকরোগুলো ঠিকই সিংকের ঝাঁঝরি ভেদ করে ঢুকে যায়। এই সবজির খোসাগুলো পাইপের বদ্ধ ও পানিযুক্ত স্থানে দীর্ঘসময় থাকার ফলে পচে কম্পেস্ট তৈরি করে। যা পাইপ ও পাইপের বাঁকগুলোকে বন্ধ করে ফেলে। ফলে সহজে পানি পাস হতে পারে না।
তাড়াহুড়ার ফলে অনেকেই হয়তো এই বিষয়ে খেয়াল করেন না। কিন্তু বাড়তি ঝামেলা ও উপদ্রব বাড়াতে না চাইলে মাংসের ঝোল ও সবজির খোসা রান্নাঘরের সিংক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আরো পড়ুন: ঝকঝকে কার্পেট!