প্রতিটি বাবা-মা চায়, তার শিশুর জীবন সুন্দর হোক। কোনো অসুবিধায় শিশুর যেন কষ্ট না হয়। যেহেতু শিশুরা সব ভালো-মন্দ বোঝে না, তাই অভিভাবকরাই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবে আগলে রাখতে গিয়ে শিশুর ক্ষতি করছেন না তো?
অনেক বাবা-মা শিশুদের অনেক শাসনে রাখেন। তাদের সুরক্ষা করতে গিয়ে ও ভালো হবে ভেবে বেশি শাসন করে ফেলে। তারা শিশুদের অনেক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেন না। শিশুকে ছেট থেকেই কিছু নিজস্বতা বজায় রাখতে দিন। যেন সে তার নিজের জীবন নিজে সাজিয়ে তুলতে পারে। তার বিকাশ যেন পরিপূর্ণভাবে হতে পারে। কোন আচরণ শিশুর প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, জেনে নিন-
নির্ভরশীলতা
ছোট থেকে শিশুর সব কাজে সাহায্য করবেন না। এতে শিশু নিজের কাজ নিজে করতে শিখবে না্। বড় হওয়ার পর যখন তারা বাইরের দুনিয়ায় পা রাখবে, তখন জীবন তাদের জন্য অনেকটা কঠিন হয়ে উঠবে।
বিরক্তিতে দূরত্ব
শিশুরা সাধারণত নতুন সব কিছু জানতে ও শিখতে চায়। তাকে সবকিছুতে বাধা দিলে, সে আপনার প্রতি বিরক্ত হবে। এতে অভিভাবক ও শিশুর মধ্যে দুরত্ব বাড়তে থাকে। প্রতিটি শিশুর পছন্দ-অপছন্দ ভিন্ন হতে পারে। তাদের মতো করে তাদের বড় হতে দিন।
বিকাশ
শিশু অনেক শাসনে বড় হলে বাস্তব-জ্ঞান দেরিতে হয়। বাড়ন্ত বয়সে সম্পর্ক ও সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এছাড়া, তাদের দায়িত্ববোধ আসতেও সময় লাগে।
অনন্যতা
ব্যক্তিবিশেষে সকলের পছন্দ, অপছন্দ, শখ, দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত, বিশ্বাস- ভিন্ন হয়। এসব কারণেই একজনের সাথে অন্যজনের তুলনা হয় না। শিশুকে বিকাশের সম্পূর্ণ সুযোগ না দেওয়া হলে, সে নিজেকেই চিনতে পারবে না। তার অনন্যতা চাপা পড়ে থাকবে।
ব্যক্তিত্ব
ছোট থেকেই শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠন শুরু হয়। শিশুরা অতিরিক্ত শাসনে বড় হলে, তাদের ব্যক্তিত্বে প্রভাব পড়ে। দুর্বল ব্যক্তিত্বের শিশুরা বড় হলে, কোনো কাজে আত্মবিশ্বাস পায় না। সমাজে সব পরিস্থিতি সামলে চলায় তাদের অজ্ঞতা থাকে। অনেক সময় তারা নিজের ব্যাপারেই সচেতন হয় না।
তথ্যসূত্র: জুম