বয়সের কারণে বা আঘাতের পেয়ে অনেকেই পেশি ও হাড়ের ব্যথায় ভোগেন। শীতে দেখা যায় তাদের এসব উপসর্গ আরও বাড়তি থাকে। কারণ, পরিবেশের তাপমাত্রা জয়েন্টের দৃঢ়তা, পেশির টান ও রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে শারীরিক অস্বস্তি বাড়ে। তার সাথে জীবনযাত্রার উপরও প্রভাব পড়ে।
ভারতীয় ডাক্তার স্বগতেশ বস্তিয়া বলেন, ‘শীতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা মোকাবেলা কঠিন হয়ে পড়ে। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ায়, পেশিতে টান পড়ে। এছাড়াও জয়েন্টের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই, হাত পা নড়া-চড়া করতে এবং ঘুমাতেও কষ্ট হয়।’
তবে ঘরোয়া ভাবেই কিছু টিপস মেনে চললে, এই ব্যথাকে প্রশমিত করা যায়। ভারতীয় ফিজিওথেরাপিস্ট পল্লবী সিং বলেছেন, ‘ঠাণ্ডা পরিবেশে পেশি শক্ত হয়ে যায়। এছাড়া জয়েন্টগুলোতে চাপ বাড়ে। সাইনোভিয়াল তরল জয়েন্টের মসৃণতা নিয়ন্ত্রণ করে। ঠাণ্ডায় এগুলো জমাট বেঁধে যায়। ফলে যে অংশে ব্যথা সেখানে ফুলেও যেতে পারে। তাই চলাচলেও অসুবিধা হয়’।
শীতে এসব সমস্যার আধিপত্য বাড়লে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন ডাক্তার সিং-
১.শরীর গরম রাখতে নিজেকে সবসময় ঢেকে রাখুন। বিশেষ করে ব্যথার জায়গায় গরম কাপড় ব্যবহার করুন। হাতে দস্তানা ও পায়ে মোজা পরবেন। নিজেকে ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে রাখুন।
২.রক্তে প্রবাহ বাড়াতে এবং জয়েন্ট নমনীয় করতে প্রতিদিন অল্প ব্যায়াম করুন। বিশেষ অঙ্গের জন্য আলাদা ব্যায়াম রয়েছে।
৩.হিটিং প্যাড, গরম ভাপ বা গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে ব্যথার জায়গায় তাপ প্রদান করুন। এতে ব্যথা প্রশমিত হবে।
৪.তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বাহ্যিক ভাবে প্রশান্তির ব্যবস্থা করুন। এজন্য ব্যথানাশক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এগুলো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয় না।
৫. ব্যথা উপশমের জন্য ডি৩ এবং বি১২ সম্পূরক নিন। তবে তা অবশ্যই পরামর্শ অনুযায়ী।
৬.দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকলে এবং অনেক কিছু করেও না কমলে, সমস্যা গুরুতর। এরকম হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮