শীতকাল এমন একটি ঋতু, যা আমাদের সুস্থতার দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে বাধ্য করে। অধিকাংশ মানুষেরই শীতকালে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর-এর মতো ঠান্ডাজাতীয় সমস্যায় কম-বেশি সবাই ভোগে। তবে অনেক মানুষকে অন্যান্য ব্যতিক্রমী সমস্যায়ও পড়তে দেখা যায়।
শীতকালীন বাড়তি রোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। যার কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল না রেখে, এলোমেলো জীবন-যাপন। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য শুধু সাময়িক অস্বস্তি সৃষ্টিই করে না! আরও গুরুতর রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে যেসব কারণে-
১.অপর্যাপ্ত পানিগ্রহণ: ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে পানির তৃষ্ণা সাধারণত কমে যায়। এজন্য অনেকে প্রায়শই পানি পান করতে ভুলে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে, শরীরে পানির ঘাটতি পূর্ণ হয় না। এই পানিশূন্যতা থেকেই শক্ত মল এবং মলত্যাগে অসুবিধা হতে পারে।
২.অত্যধিক কফি পান: শীতকালে গা গরম করতে, সাধারণত গরম পানীয় খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফিনযুক্ত চা, ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে। যার ফলস্বরূপ, অন্ত্রের গতিবিধি প্রভাবিত হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৩.ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার উপেক্ষা: চর্বি এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার শরীর গরম রাখে। তাই শীতকালে এসব খাবার আরামদায়ক। তবে অবশ্যই এসবের পাশাপাশি ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবারের ঘাটতিতে হজমের সমস্যা হতে পারে। শীতকালে ফল, শাকসবজি এবং শস্যজাতীয় খাবার অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৪.সীমিত কার্যকলাপ: হাঁটাচলা করলে পাচনতন্ত্র উদ্দীপিত হয়। শীতের ঠান্ডা পরিবেশের কারণে অনেকেই ব্যায়ামে নিরুৎসাহ হয়ে পড়েন। যার ফলে শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস পায়। এর ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে।
৫.কিছু ওষুধের অত্যধিক ব্যবহার: শীত মৌসুমে কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়তি থাকে। যেমন- ঠান্ডা প্রতিকারক, ব্যথা উপশমকারী ইত্যাদি। তবে এসবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮