সবকিছু অনেক বেশি জটিল ও কঠিন হওয়ার ফলে, ভালো থাকার রসদগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
বেশিরভাগ মানুষের নতুন বছরটি শুরু হয় আনন্দ ও ভালো থাকার প্রতিজ্ঞায়। নিজেকে সুখি মানুষ হিসেবে দেখার প্রত্যাশায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বেশিরভাগ সময়েই সফল হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেকের জন্য। নতুন বছরের জন্য যতই গুছিয়ে পরিকল্পনা করা হোক না কেন, বাস্তবে ঘটবে একেবারেই বিপরীত কিছু। নানান রকম ঘটনার মাঝেও নিজের মানসিক প্রশান্তি ধরে রাখা ও নিজেকে ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন হবে একটু সচেতনতা।
নতুন জামা, নতুন জুতা, নতুন ফার্নিচার, আরো বেশি টাকা আয়, ভালো খাবার, ঘনঘন ভ্রমণে যাওয়ার চাহিদাগুলোকে কমিয়ে আনতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এই চাহিদাগুলোর প্রয়োজনীয়তা আছে। তার বেশি হয়ে হয়ে গেলেই অশান্ত হয়ে যায় মন। সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবসময় অস্থিরতা বোধ হতে থাকে। এই অস্থিরতা ও অশান্তি কখনোই আপনাকে ভালো থাকতে দিবে না। নিজেকে আনন্দে ও প্রশান্তিতে রাখতে চাইলে, বাড়তি চাহিদা ঝেড়ে ফেলতে হবে সম্পূর্ণভাবে। ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে নিজের সার্বিক অবস্থার বিষয়ে।
নিজের কোন অবস্থার জন্য অন্যকে বা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিকে দায়ী করার স্বভাবটি একেবারেই বাদ দিতে হবে। অন্যের উপর কোন না কোনভাবে দায় দিয়ে পুরোপুরি পার পাওয়া সম্ভব নয় কখনোই। বরঞ্চ নিজের ব্যর্থতা, দুর্বলতা, অসফলতা ও দুঃসময়ের দায়কে নিজের করে নিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
আপনার ল্যাপটপে বারবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে আপনি যদি কাজ না করে বসে থাকেন, তবে সমস্যায় পড়তে হবে নিজেকেই। অথচ এখানে ভুলটা ছিল নিজের। ল্যাপটপে সমস্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা সারিয়ে নিলে কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিতো না।
প্রথমেই বলা হয়েছে, যতই চেষ্টা করুন না কেন পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন কিছুই হবে না জীবনে। আপনি ভেবে রাখবেন এক, বাস্তবে ঘটবে একেবারেই ভিন্ন ঘটনা। নিজেকে সবসময় সুখি রাখার জন্য বাড়তি কোন চাপ মাথায় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে সময় যেভাবে আগাবে, নিজেকে সেভাবে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ‘গো উইথ দ্য ফ্লো’ এই ধারণায় বিশ্বাস রেখে চলতে হবে সবসময়।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্সপেকটেশন বা প্রত্যাশা গড়ে ওঠে কাছের মানুষের প্রতি। এমনকি সাধারণ কোন একটি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেও মানুষ এক্সপেক্ট করে দ্রুত ও ভালো ফল পাওয়ার। এটা প্রতিটা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যদি বলা হয়- যে কারোর উপরেই কোন ধরণের প্রত্যাশা না রাখতে, তবে সেটা খুবই অযৌক্তিক হবে। তাই প্রত্যাশার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সুখি থাকতে চাইলে এই নিয়মের কোন বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন: নতুন বছর আসুক সঞ্চয়ের প্রতিজ্ঞায়
আরো পড়ুন: ভ্রমণে কী রাখবেন সাথে?