দুধ চা যারা এড়িয়ে চলেন, তারা সাধারণত রঙ চা, লবঙ্গ চা, আদা চা কিংবা গ্রিন টি পান করেন। তবে লেবুর আরামদায়ক সুবাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষ লিকার দেওয়া লেবু চা পান করতেই বেশি পছন্দ করেন।
আপনিও যদি সকালবেলা চিনিবিহীন লেবু চা পানে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে রয়েছে সুসংবাদ। এই চায়ের স্বাস্থ্য উপকারি ঠিক এর স্বাদ ও সুবাসের মতোই চমৎকার। যারা এখনও এই চা পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেননি, তারাও জেনে রাখুন প্রতিদিন এক কাপ লেবু চা পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহ।
সকালে প্রথমেই লেবু চা পান করার ফলে পাকস্থলিস্থ বর্জ্য ও টক্সিন পদার্থ সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যায়। এছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি তথা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড পেটফোলাভাব তৈরি হতে বাঁধা প্রদান করে বলে বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা ও খাদ্য পরিপাকজনিত পেটের সমস্যা দেখা দেয় না। এমনকি গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ট্যাক্টের ইনফেকশনের সমস্যাও কমিয়ে আনে লেবু চা।
বাড়তি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে লেবু চা খুব দারুণ কাজ করে। বাড়তি ওজনের ফলে উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা, হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব, ওবেসিটি দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। লেবু চায়ের ভিটামিন-সি শরীরের মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করে। যার ফলে ওজন দ্রুত কমে।
ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য লেবু চা হলো সর্বোৎকৃষ্ট পানীয়। লেবুতে থাকা হেসপেরিডিন এর বেশ কয়েকটি ফার্মাকোলকিজক্যাল একশনের মাঝে অন্যতম হলো- অ্যান্টিহাইপারলিপিডেমিক ও অ্যান্টিডায়বেটিক একশন। এই হেসপেরিডিন শরীরের এনজাইমের উপর প্রভাব তৈরি করে, যা ডায়বেটিস তথা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ডিটক্সিফাইং এর জন্য লেবুর রস সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। লেবুর অ্যাসকরবিক অ্যাসিড শরীরের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত ও টক্সিন পদার্থকে বের করে দিতে কাজ করে। ফলে শারীরিক অসুস্থতা ও ইনফেকশনের প্রাদুর্ভাব কমে যায় অনেকটা।
জানতেন কি, নিয়মিত লেবু চা পান হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে! লেবুতে আঁচ হে ফ্ল্যাভনয়েড জাতীয় উপাদান কোয়ারসেটিন। যা মূলত অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ঘরানার উপাদান। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর প্রকাশিত জার্নালের তথ্যমতে, কোয়ারসেটিন হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যার উপশমে ও প্রতিরোধে কাজ করে।
আরও পড়ুন: সুস্থতা যখন লেবুপানিতে
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে বিটের জ্যুস