রঙিন নখ সাজগোজের একটি বিশেষ অংশ। নারীরা সাধারণত নখ বড় রেখে সাজাতে পছন্দ করে। তবে আধুনিক যুগে নানারকম বিউটি ট্রিটমেন্ট করানো যায়। এতে যাদের নখ ছোট তারাও কৃত্রিমভাবে নখ বড় করতে পারে। তবে এসব এক্রাইলিক নখ তৈরির পূর্বের করণীয়, প্রলেপ দেওয়া, নখ তোলা- এসব করতে গিয়ে নখের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এক্রাইলিক নখ সরাসরি কোনো ক্ষতি করেনা। ভারতীয় কসমেটোলজিস্ট কিরণ ভাট-এর মতে, যেভাবে কৃত্রিম নখের ব্যবহারে স্বাভাবিক নখ দুর্বল হয়ে যায়:
ফিলিং: এতে নখ পাতলা হয়ে যায়। ফলে নখ ভঙ্গুর হতে শুরু করে।
রাসায়নিক পদার্থ: আঠালো পদার্থ এবং এসব রিমুভারের মধ্যে শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা নখকে রুক্ষ করে ফেলে। এতে নেইলবেড শুষ্ক হয় এবং অস্বস্তি অনুভব হয়।
আর্দ্রতা কমানো: নখের আর্দ্রতাকে নকল নখ আটকে রাখে। এতে ফাংগাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ট্রমা: বারবার এক্রাইলিক নখের ব্যবহার এবং অপসারণে নখের ক্ষতি করে। নখের বৃদ্ধিতেও বাধা পড়ে।
অতিবেগুনী রশ্নি: ব্যবহৃত ইউভি রে (অতি বেগুনী)-র প্রভাবে আঙুলে ভাজ পড়তে শুরু করে। এতে স্থায়ীভাবে হাত বয়স্ক দেখাতে শুরু করে।
ডা.ভাট এসবের প্রতিকারে কিছু উপদেশ দিয়েছেন:
১. এক্রাইলিকের ব্যবহার সীমিতকরণ: নখকে সুস্থ হওয়ার জন্য সময় দিন। একবার নকল নক তোলার পর, নখকে পুনরায় সুস্থ করতে কিছুদিনের ব্যবধান বজায় রাখুন।
২. গুণগতমান: যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার গুণগত মানের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন। অবশ্যই জীবাণুমুক্তকরণ সতর্কতা অবলম্বন করে নিন।
৩. সুরক্ষা: নখের সুরক্ষা বজায় রাখতে হাতে প্রতিদিন হ্যান্ডক্রিম এবং কিউটিকল তেল মাখুন।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস