ব্যস্ততাময় এই জীবনে আমরা অনেকেই নিজস্ব সত্ত্বাকেই হারিয়ে ফেলি। কাজ, সম্পর্ক, দায়িত্ব- এসবের মাঝে দেখা যায় নিজেকেই সময় দেওয়া হয় না। এতে ধীরে ধীরে নিজের সাথেই যোগাযোগ বন্ধ হতে শুরু করে। কাপল কোচ জুলিয়া উডস জানিয়েছেন ৫ টি লক্ষণ। যার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন, আপনিও নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়ে ফেলছেন কিনা!
১. অনুভূতির প্রতি নিয়ন্ত্রণ না থাকা: নিজের সাথে সম্পর্ক এবং অনুভূতির উপর মানসিক স্থিরতা নির্ভর করে। প্রতিনিয়ত নিজের অনুভূতিকে দাবিয়ে রাখলে, নিজের সাথেই সম্পর্ক মলিন হতে শুরু করে। যেমন, আপনার সঙ্গীর কথায় কষ্ট পেলে আপনি কি করেন? আপনি তার কাছে এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন? নাকি আপনি নিজের সমস্যাই খুঁজতে থাকেন। যদি সবকিছুতেই রেগে যান এবং কেবল নিজেকেই দোষ দিতে থাকেন, তাহলে হতে পারে আপনার নিজের সাথে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
২. নিজের আচরণে অবাক হওয়া: আপনি কি কখনো নিজের প্রতিক্রিয়াতেই অবাক হয়েছেন? যদি মনে হয়, নিজের ব্যক্তিত্বের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন আচরণ করছেন, তাহলে নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। হতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে আপনি নিজের কাজের জন্য অন্যদের দোষ দিচ্ছেন। অথবা অন্য কারো কাজের দায়ভার নিজেই নিচ্ছেন। মূলত, সমস্যার সূত্রপাতই বুঝে উঠতে পারছেন না। এমন হলে মেডিটেশন করুন। ঠান্ডা মাথায় নিজের অনুভূতিগুলোর উৎপত্তি অনুসন্ধান করুন।
৩. অতীত নিয়ে পড়ে থাকা: নিজের সাথে সম্পর্ক দুর্বল হতে থাকলে আপনি বর্তমান থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করেন। অতীতের অভিযোগ গুলোকেও বর্তমানে টেনে আনেন। এখনকার কাজের কারণ হিসেবে বারবার আগের কাজগুলোকে দোষ দিতে থাকেন। নিজের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকার এটিও একটি লক্ষণ।
৪. নিজের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞতা: নিজের সাথে দূরত্ব থাকলে নিজের চাহিদা সম্পর্কেই অনিশ্চয়তা থাকে। আগে নিজেকে বুঝতে শিখুন। নিজের পছন্দ, শখ, চাহিদার ভিত্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
৫. আটকে থাকার অনুভূতি: অন্যদের দোষারোপ করা নিজের সাথে দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটা বিশেষ লক্ষণ। প্রতিটি সম্পর্কে চলে দুই পক্ষের দায়িত্ববোধে। তাই নিজের দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে। সামনের মানুষটির সহযোগিতা ছাড়া, একটা বিষয়েই আটকে থাকা- এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮