মানসিকভাবে অশান্তিতে থাকলে প্রায়ই মুড সুয়িং বা মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই পরিস্থিতির সাথে লড়াই করা আপনার এবং চারপাশের লোকজন- সবার জন্যই কঠিন হতে পারে। কখনও কখনও মেজাজের পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই হয়। তবে অনেক সময়ই মানসিক ক্লান্তি, শারীরিক সুস্থতার উত্থান-পতন এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার মুড সুয়িংয়ের মতো মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।
জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে মুড সুয়িং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেজাজের পরিবর্তনের মাত্রা বেশি হলে, মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের সাহায্যও নিতে পারেন। তবে, মানসিক ও শারীরিক চাপের সাথে মোকাবিলা করার কৌশল অবলম্বন করলেও লাভ হতে পারে।
মুড সুয়িং বা মেজাজ পরিবর্তনের কারণ-
মেজাজ পরিবর্তনের জন্য অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ থাকে। যেমন:
১. ঘুমের অভাব এবং ক্লান্তির কারণে ঘন ঘন মুড সুয়িং হতে পারে।
২. জীবনের কোনো ঘটনা থেকে তা মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে। এটি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক যেকোনোটিই হতে পারে। তবে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী ঘটনা মুড সুয়িং করাতে পারে।
৩. সকল বাজে অভিজ্ঞতাই মনের উপর প্রভাব ফেলে। মুড সুয়িং হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
৪. ক্যাফেইনজাতীয় খাবার যদিও ঘুম তাড়িয়ে জেগে থঅকতে সাহায্য করে। তবে এর অনেক নেতিবাচক দিক রয়েছে। মেজাজ পরিবর্তন করা, তার মধ্যে একটি।
৫. নেশাজাতদ্রব্য কোনোদিক থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। মুড সুয়িং করাতেও এর প্রভাব থাকে। বিশেষ করে, অ্যালকোহল গ্রহণকারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগে।
৬. ঋতু পরিবর্তনের সাথে আমাদের পরিবেশের কিছু কিছু পরিবর্তন আসে। অনেকে এই পরিবর্তনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এতে তাদের মুড সুয়িং হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ক্লিয়ারভিউ ট্রিটমেন্ট প্র্রোগ্রাম