এখন বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। বিশেষ করে বাড়তি বয়সী বা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যার আধিক্য দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বিষণ্ণতায় ভুগলে একসময় তা গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে শুরু করে। তবে অনেকে আসলে বুঝতেই পারেন না যে তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন, বা তার বিষণ্ণতা কতটা গভীর! বিষণ্ণতার লক্ষণের মধ্যে কিছু গুরুতর উপসর্গ রয়েছে। যার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর কতটা প্রভাব পড়ছে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর মাধ্যমে জেনে নিন,আপনার উপর বিষণ্ণতার প্রভাব কতটা:
১. অস্থিরতা, ক্লান্তি বা অনুপ্রেরণার অভাব অনুভব করলে, হতে পারে আপনি বিষণ্ণ সময় কাটাচ্ছেন।
২. যেকোনো বিষয়ে অল্পেই বিরক্ত বা অধৈর্য্য হয়ে গেলে বিষণ্ণতার ব্যাপারে জাগ্রত হন।
৩. ভবিষ্যত সম্পর্কে দৃঢ় আবেগ বা উদ্বেগ প্রকাশ কমাতে পারছেন না? হয়তো আপনি অনেক বেশি বিষণ্ণ হয়ে রয়েছেন, অথচ নিজেই বুঝতে পারছেন না।
৪. ক্রমাগত অন্যদের দ্বারা অকৃতজ্ঞ বোধ করা, বিষণ্ণতার লক্ষণ।
৫. আবেগপ্রবণ চিন্তাভাবনা বা তুচ্ছ ব্যাপারেও রাগ হওয়া স্বাভাবিক নয়।
৬. ক্রমাগত মাথা, পেশী বা শরীরের ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাও হতে পারে বিষণ্ণতার কারণে।
৭. সমাজ, পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলে আপনি বিষণ্ণতায় ডুবে আছেন।
৮. কোনো ব্যাপারেই আটকে থাকা বা হতাশাজনক মন্তব্য করার মাধ্যমে আপনার আচরণে বিষণ্ণতার ছাপ পাওয়া যায়।
৯. বিষণ্ণতায় আটকে গেলে আপনার ক্ষুধা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে বা কমতে পারে।
১০. মিলেমিশে কাজ করার পরিবর্তে একা কাজ করতে পছন্দ করা বিষণ্ণতার লক্ষণ।
১১. নতুন কাজ, ধারণা বা সম্পর্কের প্রেরণার অভাববোধ করতে পারেন বিষণ্ণতার প্রভাবে।
তথ্যসূত্র: ক্লিয়ারভিউ ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম