নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ ও ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা- বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী দুজন রন্ধনশিল্পী। দুজনেই কালিনারি আর্টস (রন্ধনশিল্প) নিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন দেশের বাইরে থেকে। নাঈম আশরাফের বিষেশত্ব হলো জাপানিস কুজিন। আর মালিহার বিষেশত্ব ফ্রেন্স কুজিন।
এই দুই রন্ধনশিল্পী গত ডিসেম্বরেই গাটছড়া বেঁধেছেন। চট্টগ্রামের পাহাড়ের কোল ঘেষে অবস্থিত জনপ্রিয় ইকো রিসোর্ট ‘মাটিটা’তে গায়ে হলুদ আর পাঁচ তারকা হোটেল আগ্রাবাদে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রিসেপশন হয়েছে রাজধানীর গুলশান শ্যুটিং ক্লাবে।
বিয়ে নিয়ে নাঈম আশরাফ বলেন, ‘কাজের সূত্রেই আমাদের পরিচয়। তবে সেটি বেশিদিন আগের কথা নয়। অল্পদিন প্রেমের পরই দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা মনের মতো করে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংসার শুরু করেছি। কেবল তো শুরু, দোয়া করবেন যেন একসঙ্গে সুখে থাকতে পারি।’
মালিহা সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ব্যাংকক, মালদ্বীপ, ভারতসহ নানা দেশে কাজ করেন। বাংলাদেশে ফেরার পর তার হাত ধরেই শুরু হয় গুলশানের ‘হ্যালো ঢাকা’ রেস্টুরেন্ট। বর্তমানে তিনি গুলশান ২-এ অবস্থিত ‘মাঞ্জো’ রেস্টুরেন্টে এক্সিকিউটিভ শেফ হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
মালিহা বলেন, ‘আমি রন্ধনশিল্পের ওপর গ্রাজুয়েশন করেছি মালেশিয়ার লা কর্ডন ব্লু স্কুল থেকে। যেটি বিশ্বের অন্যতম পুরনো ফ্রেন্স কালিনারি স্কুল। রন্ধনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই এই প্রতিষ্ঠানকে এক নামে চেনেন। আর কাজের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো- শেফ টমি মিয়ার সহযোগীতায় মুম্বাইয়ের হোটেল তাজ-এ একটি লাইভ কুকিং শোতে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে আমিই ছিলাম সবচেয়ে কম বয়সী শেফ। আমার রান্না দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র নারী এক্সিকিউটিভ শেফ-এর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি ঢাকার একটি প্রেস্টিজিয়াস অর্গানাইজেশন থেকে।’
অন্যদিকে, নাঈম আশরাফ দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেড শেফ হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বাড্ডায় অবস্থিত হসপিটালিটি ও কালিনারিবিষয়ক ট্রেনিং স্কুল ‘সাইন’-এর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। অল্প দিনেই এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। এরইমধ্যে রাজশাহীতে একটি শাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের শাখা খোলার প্রস্তুতি চলছে।
নাঈম আর মালিহার স্বপ্ন একসঙ্গে মানসম্মত একটি রেস্টুরেন্ট খুলে ভোজনরসিকদের দারুণ সব এক্সপেরিয়েন্স দেবেন।