একে অপরের প্রতি অঢেল ভালোবাসা থাকার পরও অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে দেখা যায়। সম্পর্কের ব্যাপারে একেক জন একেক রকম হয়ে থাকে। তবে, শুধু ভালোবাসা একসাথে আজীবন থাকার জন্য কখনোই পর্যাপ্ত নয়। অনেক গুলো ব্যাপারের উপর সম্পর্ক ভালো থাকা নির্ভর করে। সুখী সম্পর্ক বজায় রাখতে অনেক বেশি প্রচেষ্টা রাখতে হয়। অনেক সময় ভাগ্যের উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। বার বার সম্পর্কে কঠিন বাঁধা আসতে থাকলে, সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে। এরকম নানা কারণে দু’জনের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, অনেক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তেমন কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:
সম্পর্কে ‘বিশ্বাস’, ভালোবাসার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা। বিশ্বাসে ফাটল থাকলে সারাক্ষণ মনের মধ্যে খুতখুত ভাব থেকে যায়। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কেবল ভালবাসা যথেষ্ট হবে না।
ভবিষ্যতে দু’জনের একসাথে জীবন কাটানোর পরিকল্পনা থকেতে হবে। সেজন্য অবশ্যই ভবিষ্যতের বিষয়ে দু’জনকে একমত হতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে বর্তমান সম্পর্কও প্রভাবিত হয়। হয়তো একে অপরকে অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু একে অপরকে নিজের ভবিষ্যতের অংশ হিসেবে দেখতে না পান, তবে সম্পর্ক ভাঙ্গার সূত্রপাত হয়ে যায়। তাই স্বতন্ত্রভাবে এবং একে অপরের সাথে ভবিষ্যত সম্পর্কে পরিষ্কার থাকুন।
আজীবন একসাথে থাকার জন্য, পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে, যেন সঙ্গীর পরিবারের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পান। অন্যথায়, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই আপনার সঙ্গীর পরিবার যদি আপনাকে পছন্দ না করে, তবে সতর্ক হউন।
প্রেমীকে অবশ্যই আগে একজন ভালো বন্ধু হতে হবে। তবে বন্ধুত্বের উর্ধ্বে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সম্পরের্ক থাকার সময়, দুজনের মধ্যে গভীর মানসিক বন্ধন থাকে। তবে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পর্কে নাটকীয়তা প্রথমে হয়তো সহনীয় লাগতে পারে। তবে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করে এর কারণে। দু’জনের মধ্যে অঢেল ভালোবাসা থাকলেও নাটকীয় প্রবণতার কারণে চির ধরতে পারে। হতে পারে অনেক বেশি নাটকীয়তার কারণে একত্রে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া