রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের ঢালের ন্যায় কাজ করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা নানা রোগে ভোগেন। সারাজীবন সুস্থতা বজায় রাখতে ছোট থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আয়ুর্বেদিক উপাদানের সাহায্যে কোমল এবং প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যেসব শিশু বাড়তি বয়সের, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খাওয়ান এই উপাদানগুলো-
মুলেঠি: সাধারণত যষ্ঠিমধু নামে পরিচিত এই উপাদানটি। এতে অ্যান্টি ভাইরাল প্রোপার্টি রয়েছে। তাই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে মুলেঠি বা যষ্ঠিমধু। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে যষ্ঠিমধু অথবা গুড়ো বাচ্চাদের খাওয়ান।
তুলশি: ঔষধি গাছ হিসেবে তুলশি বেশ সুপরিচিত। এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং এসেন্সিয়াল অয়েল রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন এ এবং সি ও রয়েছে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতেও সাহায্য করে। সর্বোচ্চ উপকার পেতে শিশু পানি পান করার সময় তাতে কয়েকটা তুলশি পাতা ছেড়ে দিন।
জায়ফল: শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জায়ফলকে অনেক কার্যকরী বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী জীবাণুরোধী গুণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে করায় জায়ফলের জুড়ি নেই। এজন্যই একে জয়ফল নামেও ডাকা হয়। নবজাবক শিশুদের কাশি ও ঠান্ডার সমস্যা করতে পারে এই উপাদান। তাছাড়া তাদের ভালো ঘুমের জন্যও বেশ কার্যকরী। বাচ্চাদের দুধে এক চিমটি জয়ফল গুড়ো মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
অশ্বগন্ধা: রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে অশ্বগন্ধা। অশ্বগন্ধার দুধ বা অশ্বগন্ধার স্মুথির মাধ্যমে শিশুকে অশ্বগন্ধা খাওয়াতে পারেন। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তরান্বিত হবে।
ব্রাহ্মি: শিশুর স্বাস্থ্যে নানাবিধ উপকারী প্রভাব ফেলে ব্রাহ্মি। এর সক্রিয় উপদান, হঠাৎ ব্যথা হওয়ার সমস্যা নিরাময় করতে পারে। তাছাড়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উপকারী প্রভাব ফেলে ব্রাহ্মি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া