ঘুম একটি অতি প্রয়োজনীয় শরীরবৃত্তীয় কাজ। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বিশ্রামের। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে ঘুমের প্রয়োজন। সময়ের সাথে সাথে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে নিদ্রাহীনতার স্থায়ী সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত। তা না হলে বিশ্রামের অভাবে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে দেখা যায় ছোট-বড় নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ‘নিদ্রাহীনতা’ একটি খুব বড় সমস্যা। নানারকম কারণে এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। জেনে নিন যেসব কারণ সৃষ্টি করে নিদ্রাহীনতা-
জীবনযাত্রার ধরন: ঘুমানোর সময় নির্ধারণ এই ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা কতক্ষণ ঘুমাবো, তা আসলে আমরাই নির্ধারণ করি। দেরীতে করে ঘুমাতে যাওয়া খারাপ একটি অভ্যাস। তাছাড়া, রাত জেগে মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালানোও ঘুম কম হওয়ার জন্য দায়ী।
ঘুমের পরিবেশ: অস্বস্তিকর পরিবেশে ঘুম শান্তিপূর্ণ হয়না। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে ভালোভাবে ঘুমানো যায় না। এছাড়া শোয়ার ঘরের আশেপাশে অতিরিক্ত শব্দ থাকলে ঘুম অপর্যাপ্ত হতে পারে।
কাজের সময়: সাধারণত কর্মজীবীদের কাজের সময় থাকে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা অবধি। অতিরিক্ত কাজের চাপে ঘুম কম হতে পারে। সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ কাজ করলে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কম পাওয়া যায়অ তাছাড়া কজের চিন্তায় ঘুম গভীর হয়না। সবকাজের জন্য আমাদের শরীরঘড়ি একটি রুটিনে সাজানো থাকে। সেই অনুযায়ী ঘুম, ক্ষুধা, হরমোনের পরিচালনা হয়ে থাকে।
অনিদ্রা রোগ: অনিদ্রা রোগের কারণে অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারেন না। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপোনিয়া, নাক বন্ধ হওয়া বা নাক ডাকা এর উদাহরণ। অনেকের ঘুমের সময় শ্বাস নিতে কষ্ট বা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এতে স্বাভাবিক ঘুম চক্র ব্যাহত হয়।
তথ্যসূত্র: বেটার হেলথ্