যেকোনো সম্পর্কে মনমালিন্য হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। মতামতের অমিল সঙ্গীর সাথে ঝগড়াও হতে পারে। প্রাপ্তবয়সে সাধারণত এই ব্যাপারগুলো বিজ্ঞতার সাথে সামাল দেওয়া হয়। তবে অনেকেই সঙ্গীর সাথে ঝগড়া করার সময় অদ্ভুত আচরণ করে। জগড়া করার সময় আমরা এতটা ব্যস্ত হয়ে যাই যে নিজের আচরণ লক্ষ্য করি না। প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের ডিএনএ এমন হয়ে। ঝগড়ার সময় চিন্তায় অনেকেই অপরিপক্কদের মতো আচরণ করে। তবে, এই আচরণ করা অশোভনীয়। রিলেশনশিপ কোচ জুলিয়া উডস বলেছেন, ঝগড়ার সময় অপ্রাপ্ততবয়স্কদের মতো আচরণ করার লক্ষণ। মিলিয়ে নিন নিজের সাথেও:
দোষারোপ: ঝগড়া কখনো যেকোনো একজনের দোষে লাগে না। দদুইজনের মতোবিরোধের কারণেই দ্বন্দ হয়। তাই ঝগড়ার সময় শুধু অপর পক্ষকে দোষ দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। অন্যকে বার বার দোষারোপ করা আরও বেশি ক্ষতি করে। সম্পর্ক নষ্ট হওয়া এবং কষ্ট দেওয়ার মূল কারণ এই দোষারোপ।
অপরের প্রতি আনুগত্য: সম্পর্কে দু’জনেই যোগদান থাকে। ঝগড়ার করার কারণে সবার মনেই খারাপ প্রভাব পড়ে। এমনটা অপর পক্ষের মানুষের ক্ষেত্রেও একইরকম হয়। তাই, যখন ঝগড়া করছেন, তখন অপর মানুষটার কথাও চিন্তা করুন। ঝগড়ার প্রভাব তার উপর কিভাবে পড়ছে সেই খেয়ালও রাখুন।
মানসিক অপ্রাপ্যতা: একে অপরের যথাযথ কথোপকথন বজায় রাখতে হবে। শুধু নিজের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে পড়ে তাকলে হবে না। অপর পক্ষের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকা অবস্থায় প্রিয় মানুষকে পাশে না পেলে, সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে।
নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা: সম্পর্ক নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে, অপর পক্ষের মানুষটির জন্য তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। মনের কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
অস্পষ্ট আলোচনা: সাধারণত কঠিন ব্যাপারে আলোচনা করতে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই অনেকেই ব্যাপারগুরো এড়িয়ে যায়। মনের কথা স্পষ্টভাবে বলে না। এতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস