শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারী অণুজীবে পরিপূর্ণ খাবার হলো, দই। অনেকেই খাবারের পর শেষ পাতে দই খেতে পছন্দ করে। টক হোক বা মিষ্টি, ভালো খাবারের আয়োজনে দইয়ের ব্যবস্থা থাকেই। মানুষ বিশ্বাস করে, দই হজমে উপকারী প্রভাব ফেলে। তবে শুধু হজমেই নয়, শরীরে আরও অনেক প্রভাব ফেলে দই। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, শীতকালেও কি দই খেলে উপকার হয়? ভারতীয় ডাক্তার ভারতী কুমার দিয়েছেন এর উত্তর-
১. অণুজীব: দইতে উপকারী অণুজীব থাকে। যার বাসস্থান হলো অন্ত্র। এরা হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এরা সাহায্য করে।
২. পুষ্টি: ক্যালসিয়াম, আমিষ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পরিপূর্ণ দই। পেশি, হাড় এবং সমগ্র শরীরের কার্যক্রম সঠিক ভাবে চালনা করতে এরা সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য দই খুব উপকারী খাবার।
৩. খাওয়ার পদ্ধতি: দই নানাভাবে খাওয়া যায়। দোকানে নানা ফ্লেভারের দই পাওয়া যায়। তাছাড়া খাবারের সাথে বা রান্নায় খেতেও ভালো লাগে। দই শুধুও খাওয়া যায়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: দইয়ের অণুজীবে উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে শরীর সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত থাকে। শীতকালে যা আরও বেশি প্রয়োজন।
৫. হজম: দইঅন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরার ভারসাম্য বজায় রাখে। বদহজম, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে।
৬. উষ্ণতা: দই খেলে শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণ হয়। তাই শীতে দই খাওয়া আরামদায়ক হয়।
৭. ক্ষুধা: দই খেলে এর প্রোটিনের কারণে পেট ভরা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৮. ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে: দইয়ে ভিটামিন বি ১২ রয়েছে। শীতকালে দই ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে পারে। ত্বকে টক দই লাগালে, ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস