মানুষের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। শরীরের সার্বিক কাজ পরিচালনার জন্য অনেক বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। গরমের সময় শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়ে যায়। তাই পানি পান করে শরীরের অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। অপরদিকে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর থেকে বাতাস পানি টেনে নেয়। তাই ত্বককে রুক্ষতা থেকে বাঁচাতের বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। তাছাড়া, পানিশূন্যতার কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তবে অনেকেই বেশি পানি পান করতে পারেন না। তারা জেনে নিন, যে উপায়ে পানি পান করা বাড়াতে পারেন-
রুটিন: পানি পান করাকে একটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি বড় গ্লাস ভর্তি করে পানি পান করুন। সেই সাথে প্রতি বেলা খাবার খাওয়ার আগেও সেই গ্লাসে পানি পান করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বেশি পান পান করবেন না। ছোট একটি গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন এভাবে পানি পান করলে অভ্যাস হয়ে যাবে।
মনে করিয়ে দেওয়া: নিজেই নিজেকে পানি পান করার কথা মনে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের টাইমার বা অ্যালার্মের সাহায্য নিতে পারেন।
স্বাদযুক্ত: অনেকের কাছে পানির স্বাদ একঘেয়ে লাগতে পারে। তারা কিছু ফল বা সবজি পাতলা করে কেটে পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে তার স্বাদ পানিতে মেশায় পানি পান করতে একঘেয়ে লাগবে না। ফলের পরিবর্তে পছন্দের ঔষধী গাছের পাতা ও গুড়ো অথবা চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। এতে একটু স্বাদের কারণে পানি পান করতে ভালো লাগবে।
ঢোক: পানির ছোট চুমুক দিয়ে খেলে, পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো যাবে না। একবারে ৫ থেকে ১০ ঢোক করে পানি পান করুন। প্রতিবার পানি পান করার সময় এই নিয়মটি মেনে চলুন। তাহলে সারাদিনে অল্প অল্প করে শরীর অনেকটা পানির জোগান পাবে।
পানির বোতল: এমন একটি বোতল কিনুন যার ওজন খুব বেশি না। পছন্দের রঙ এবং ডিজাইনে কিনতে পারেন। এতে বহন করতেও সুবিধা হবে আর পানি পান করাও আনন্দের হবে। তাছাড়া, কাজের বা যাত্রার সময় কাছাকাছিও রাখতে পারবেন।
পরিমাপ করুন: প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করছেন সেটার হিসাব রাখুন। কাগজ কলমে বা ফোনে লিখে রাখতে পারেন। দিন দিন পানি পান করার পরিমাণ কতটুকু বাড়ছে, সেটাও তাহলে সহজে নজরে পড়বে। পানির বোতলে একটি রাবার ব্যান্ড পেচিয়ে রাখতে পারেন। এর সাহায্য়ে প্রতিবার যতটুকু পানি শেষ করেছেন, তার চিহ্নিত করে রাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র: গন্ডারসেন হেল্থ সিস্টেম