বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে নানারকম পরিবর্তন আসতে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই পরিবর্তন এলে তার ছাপও পড়বে। ত্বকেও তাই নানারকম সমস্যা দেখা যায়। সবাই দাগহীন, উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক পছন্দ করে। বিশেষ করে মেয়েরা সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। অনেকেই নিজের মুখের গঠন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেনা। তাই মোবাইলে ফিল্টার ব্যবহার করে স্বস্তি লাভ করে। তবে অনেকে স্থায়ীভাবেই গঠন পরিবর্তন করতে চান। তাই বিভিন্ন আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরমধ্যে জনপ্রিয় হলো স্কিন বুস্টার্স, ফিলার আর বোটক্স। ফেসিয়াল কসমেটিকস সার্জন ইশান সারদেসাই বলেছেন এই চিকিৎসাগুলোর ব্যাপারে-
স্কিন বুস্টার্স: বুস্টার্সে শুধু হায়ালুরোনিক অ্যাসিডই ব্যবহার করা হয়না। এতে পলিনিউক্লিওটাইডস এবং গ্লুটাথিয়নের মতো অন্যান্য সক্রিয় উপাদানও রয়েছে। ফিলারের মতো এরা ভলিউম তৈরি করে না। অথবা মুখের কোনো আকারের পরিবর্তন করেনা। বরং বুস্টার ত্বকের গুণমান, হাইড্রেশন এবং টেক্সচারের উন্নত করে। সাধারণত বুস্টারের ব্যবহারের ভিত্তিতে, ৬ মাস থেকে ১ বছর এর প্রভাব বজায় থাকে।
ফিলার: সাধারণত ফিলার নিয়ে খুব ভ্রান্ত ধারণা বহন করে সবাই। ফিলার সবসময় ত্বককে ভারী করে দেয় এবং ত্বক ফুলিয়ে দেয়। এই ধারণা ঠিক নয়। ফিলার হচ্ছে একটি জেল জাতীয় পদার্থ। যাতে ঘনত্ব এবং সান্দ্রতার ভিত্তিতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। শারীরের স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফিলার ব্যবহার করা হয়। কারণ প্রতিটি স্থান একে অন্যের থেকে ভিন্ন। কিছু ফিলার ব্যবহার করা হয় ঝুলে যাওয়া ত্বককে টান টান করতে।
বোটক্স: কিছু ব্র্যান্ডের বোটুলিনাম টক্সিন নামক উপাদান অনেক বেশি জনপ্রিয়। তার মধ্যে জেওমিন, বোটক্স, ডিসপোর্ট উত্যাদি অন্যতম। এই টক্সিন মূলত নিউরোমোডুলেশনে সাহায্য করে যার। অর্থাৎ, স্নায়ু এবং পেশীর সংযোগস্থলে অস্থায়ীভাবে নিউরোট্রান্সমিটারের ক্ষরণ বাধাগ্রস্থ করে। এর ফলে মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশকারী পেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়। নিরাপদ এবং কার্যকর এই চিকিৎসা পদ্ধতি বহু বছর ধরে চলছে। ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয় বোটুলিনাম টক্সিন। এই উপাদান ত্বক টান টান রাখে। এর ফলে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস