দই খুব সুস্বাদু এবং উপকারি একটি খাবার। পেট ও অন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী অণুজীবের উত্তম উৎস এটি। যাদের হজমের সমস্যা আছে, তাদের দুপুর বা রাতের ভারী খাবার খাওয়ার পর দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে দই একটি ঠান্ডাজাতীয় খাবার। তাই অনেকেই শীতকালে দই খেতে পারেন না। তাদের জন্য ভারতীয় নিউট্রেশনিস্ট অভিলাষা ভি. উপায় বাতলে দিয়েছেন। জেনে নিন, শীতেও পছন্দের দই খেতে পারবেন যে উপায়ে-
১. গরম স্মুদি: মৌসুমি ফলের সাথে দই মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। তাতে কিছুটা মধু যোগ করুন। স্বাদের জন্য জায়ফল বা দারচিনি গুড়া ব্যবহার করতে পারেন।
২. গরম স্যুপ: রান্নায় দইয়ের ব্যবহার খাবারকে আরও সুস্বাদু করে তোলে। শুধু তাই নয়, খাবারে উপকারি অণুজীবের গুণাগুণও যুক্ত করে। গরম স্যুপে কিছুটা দই যোগ করতে পারেন। মসুর ডাল বা টমেটো স্যুপে দই ব্যবহার করে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
৩. রায়তা বা সালাদ: শীতকালীন সবজির সাথে দই মিশিয়ে রায়তা বানিয়ে নিতে পারেন। গাজর ও বিটরুটের সাথে দই মিশিয়ে রায়তা বানিয়ে নিন। শীতকালের স্বাস্থ্যকর এবং রিফ্রেশিং একটি খাবার আইটেম এটি।
৪. দইভাত: দই, সরিষা এবং জিরা দিয়ে রান্না করে নিন গরম গরম ভাত। এটি একটি শীতকালীন সুস্বাদু খাবার। দইভাত শ্বেতসার এবং প্রোবায়োটিকের সম্মিলিত গুণসমৃদ্ধ খাবার।
৫. সসের বিকল্প: শীতে গরম গরম পাকোড়া খাওয়ার প্রবণতা একটু বেড়ে যায়। প্রতিবার দইয়ে ডুবিয়ে খেতে পারেন গরম গরম মৌসুমী সবজির পাকোড়া। দইয়ের স্বাদ বাড়াতে রসুন, মশলা এবং ভেজষ উপাদানও যোগ করতে পারেন । চাটনি বা সসের বিকল্প হিসেবে দই খাওয়া একটি উত্তম উপায়। চাইলে শষ্যের তৈরি রুটির সাথেও খেতে পারেন।
৬. লাচ্ছি: শীতকালে লাচ্ছি বানিয়েও দই খেতে পারেন। ব্লেন্ডারে দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ, আদা এবং অল্প মধু ব্যবহার করে লাচ্ছি বানিয়ে নিতে পারেন। শরীর গরম করতে সাহায্য করার পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও উপকারী এই লাচ্ছি।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস