মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরা স্বাভাবিক মানুষদের মতো জীবন যাপন করতে পারে না। তাদের জীবন এমনিতেই কঠিন হয়ে যায়। সেই সময় পরিবার এবং কাছের আত্মীয়দের উচিত তার প্রতি যত্নশীল হওয়া। বন্ধু হিসেবেও মানসিকভাবে বিপদগ্রস্থদের প্রতি কিছু দায়িত্ব থাকে। বন্ধুর কাছে থেকে সহযোগীতা পেলে, কঠিন সময় গুলো পার করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ডাক্তার জ্যোতি কাপুর বলেছেন কিভাবে মানসিকভাবে অসুস্থ বন্ধুর পাশে দাঁড়াবেন-
১. প্রথমে আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিন। মানসিকভাবে অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যের বন্ধুকে সমর্থন করার প্রথম ধাপ এটি। তাদের অবস্থা সম্পর্কে আগে ভালো করে জানুন। তাদের সমস্যার প্রকৃতি, সাধারণ উপসর্গ এবং সুস্থ করতে করণীয় বুঝতে চেষ্টা করুন।
২. একজন ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন। মাঝেমধ্যে কিছু অসুস্থ ব্যক্তির শুধু কথা বলার মতো একজনের প্রয়োজন হয়;যে তাকে বিচার না করে, কেবল কথা শুনবে। বন্ধু হিসেবে তার জন্য সেই স্বস্তির জায়গাটা হতে পারেন। তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান বা পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় বন্ধুকে সহায়তা করতে তার প্রতি সহানুভূতি থাকা জরুরি। বন্ধুর মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে তাদের পরিস্থিতিতে রেখে বিবেচনা করুন।
৪. মানসিকভাবে অসুস্থ হলে সবকাজ স্বাভাবিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয়না। এসব কাজে বন্ধুকে সাহায্য করুন। তাছাড়া তার পাশে আছেন এটা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। এইজন্য তার সাথে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। অথবা, দৈনন্দিন দায়িত্বেও সহায়তা করতে পারেন।
৫. মানসিক সমস্যার কোনো বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া না থাকায়, অনেকে এই সমস্যাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। তাই পরিবারের পাশাপাশি উচিত রোগীকে পেশাদার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া। পরিবার ও বন্ধুর সমর্থন সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক মূল্যবান। কিন্তু তাকে পুরোপুরি সুস্থ হতে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
৬. অনেক ক্ষেত্রেই সুস্থ হওয়ার যাত্রা সহজ নাও হতে পারে। অনেক সময় অনেক বেশি সময় লেগে যায়। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান একটি ধীর প্রক্রিয়া। তাই রোগীর সাথে তার কাছের মানুষদেরও ধৈর্যশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। সরাসরি দেখা করা সম্ভব না হলেও, মোবাইলে বা ম্যাসেজের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস