অনেক শিশুর অভিভাবকরা মনে করে, শিশুকে বেশি করে খাওয়ালে সে অনেক পুষ্টি পাবে। অনেকে এই ব্যাপারে অবগত নয় যে, অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া কোনো সমস্যা নয়। উপকারি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার কম খেলেও; শিশু শরীরে প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান, পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা সম্ভব। তাই তার জোর করে বাচ্চাদের খাওয়াতে চায়। শকি সবজি বা ফলমূলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারও জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। এতে আরও বরং শিশুর উপকার না হয়ে ক্ষতি হয়! এরকম পরিস্থিতিতে করণীয় হিসেবে ডায়েটেশিয়ান শিবানি আহুজা পরামর্শ দিয়েছেন-
১. শিশুররা সাধারণত অনেক বাছ-বিচার করে খাবার খায়। যেসব সবজি তারা পছন্দ করে না, তা খেথে চায় না। বেড়ে ওঠার বয়সে এটি খুবই স্বভাবিক লক্ষণ। জোর করে খাবার খাওয়াতে চাইলে সেই খাবারের প্রতি বিতৃষ্ণা আরও বাড়তে পারে। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে শিশুদের স্বাদেরও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাই জোর না করে অপেক্ষা করা ভালো।
২. বড়দের মতো শিশুদের মধ্যেও ক্ষুধার তারতম্য দেখা যায়। কখনো কখনো হতে পারে তারা অতো বেশি ক্ষুধার্ত নয়। সেই সময় জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। এতে তাদের অস্বস্তি হতে পারে। এছাড়া, তাদের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাদের ক্ষুধার সময়ের প্রতি এবং খাবারের পরিমাণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
৩. শিশুদের শিখাতে হবে কিভাবে তারা তাদের দেহের চাহিদা বুঝতে পারে। কখন ক্ষুধা লাগছে, কখন পেট ভরেছে- অনেক সময় শিশুরা এগুলো বুঝতে পারে না। শিশুরা বুঝতে শিখে গেলে তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পরে।
৪. শুধু জোর করে খাওয়ানোর বদলে, শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। শিশুর খাবারে রঙিন এবং পুষ্টিকর উপাদান রাখতে হবে। শিশু যেন খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়, সেভাবে খাবার তৈরির চেষ্টা করতে হবে। খাবারের প্রতি শিশুর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে, খাবারের ব্যাপারে শিশুর মতামত নিন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া