জানান দিতে থাকে যে, সামনেই বড়সড় ধস নামতে যাচ্ছে স্বাস্থ্যে। এই পূর্বলক্ষণগুলোকে বেশিরভাগ সময় আমরা বুঝেও না বোঝার ভান করি বা এড়িয়ে যাই বলেই, পরবর্তীতে ভুগতে হয় অনেক বেশি।
কয়েকটি বিশেষ লক্ষণকে বোঝার চেষ্টা করলে সহজেই ধরা সম্ভব হবে অসুস্থতার পূর্বাভাস। এতে করে আগে থেকেই নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব হবে। ফলে খুব বেশি ভুগতে হবে না একেবারেই।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ল্যাঞ্জন মেডিকেল সেন্টারের মেডিসিন এন্ড মেডিকেল ডিরেক্টর স্টিভেন ল্যাম. এমডি জানান, অসময়ে শীতভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটির মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। ফ্লু দেখা দেওয়ার সঙ্গে হুট করে শীতভাব ও বমিভাব দেখা দিতে শুরু করে। ভাইসারজনিত জ্বর আসার আগে গলায় খুসখুসে কাশির সমস্যা ও অস্বস্তিও দেখা দেয়। এছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ব্যাকটেরিয়াল জ্বরের ক্ষেত্রে গায়ে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে বলেও জানান স্টিভেন।
শরীরচর্চা কিংবা পরিশ্রমের কোন কাজ ব্যতীত হুট করেই শরীর ঘেমে যাওয়ার লক্ষণটিকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। বেশিরভাগক্ষেত্রেই ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত সমস্যায় এমনটা হয়ে থাকে। তবে স্টিভেন বলছেন, ঘামগ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকারিতার মাধ্যমে মেনোপজ দেখা দেবার সম্ভবনাও থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত ঘামের সমস্যাটির সঙ্গে লুকায়িত থাকে হৃদরোগ, গ্লুকোজ কন্ট্রোল প্রবলেম, যকৃতের সমস্যা অথবা কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
হালকা বমিভাবের সঙ্গে পেটে ব্যথা অথবা ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার মাঝে বুঝতে হবে পেটের বড় ধরণের কোন সমস্যা দেখা দিবে। পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রোইনটেরিটিস (GI ট্র্যাক্টে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে প্রদাহ তৈরি হওয়া) এর সমস্যায় এমন লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওরস্যালাইন ও পানীয় গ্রহণে ডায়রিয়ার সমস্যা ভালো হয়ে যায় বলে অনেকেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে চায় না। কিন্তু একই সমস্যা ঘনঘন দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
হাঁচি হওয়া, মাথাব্যথা, অলস বোধ হওয়া এবং অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় হুট করেই শরীর খারাপ লাগার সমস্যা দেখা দেয়। এরপর হুট করেই দেখা দেয় জ্বর। এমনটা সাধারণত হয়ে থাকে সিজনাল অ্যালার্জির প্রভাবে। সাময়িক এই অ্যালার্জির সমস্যার জন্য শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং জ্বর দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রোইনটেরিটিস (Gastroenterities) এর সমস্যার সঙ্গে হুট করে ক্ষুধাভাব কমে যাবে এবং পেট ভরাভাব দেখা দিবে। পছন্দের খাবার খাওয়ার প্রতি কোন আগ্রহ দেখা দিবে না। এমনটা হলে বুঝতে হবে অচিরেই ইনফেকশনজনিত সমস্যা অথবা গলার কোন সমস্যা দেখা দিবে।
কেনাকাটা করতে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে পছন্দ করলেও হুট করেই সবকিছুতেই বিরক্তবোধ হওয়া শুরু হবে। পছন্দের কাজের প্রতিও আগ্রহ দেখা দিবে না একেবারেই। আচমকা মনের এই ডিপ্রেশন তৈরি হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে আগত শারীরিক অসুস্থতা। যে কারণে বলা হয়ে থাকে, শরীরের সঙ্গে মনের সম্পর্ক অনেক দৃঢ়।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়ছে মাইগ্রেনের ব্যথা?
আরও পড়ুন: অ্যাসিডিটি বাড়ছে যে সকল কারণে