যেকোনো কাজ প্রথমে শুরু করার সময় তার প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি। সময়ের সাথে সে কাজের প্রতি আগ্রহ কমতে শুরু করে। প্রায়ই দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে কাজ করার জোশ পাওয়া যায় না। কারণ, প্রতিদিন কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই কাজে ঢোকার পর প্রথম যেরকম কাজ করার প্রতি অনুভূতি থাকে, ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে।
বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রেই ‘নাইন টু ফাইভ‘ বা ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যতক্ষণ কাজের জায়গায় থাকবেন, ততক্ষণই কাজে মনোযোগ থাকা প্রয়োজন। কাজের সময় মন সতেজ না থাকলে কাজ করতে ভালো লাগে না। তাই, মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত রাখতে হবে। জেনে নিন যেভাবে কাজে মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখতে পারবেন-
চর্চা: মস্তিষ্ক অনেকটা শরীরের মতোই কাজ করে। শরীরের অনুশীলনের মতোই মস্তিষ্ককের ব্যায়ামও গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়া, ধাঁধা সমাধান, নতুন দক্ষতাসম্পন্ন কাজ শেখা এবং কৌশলগত গেম খেলার মাধ্যমে মস্তিতষ্ককে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। ক্রিয়াকলাপে জড়িত হওয়া আপনার মস্তিষ্কের জন্য দুর্দান্ত অনুশীলন।
ঘুম: ঘুম মস্তিষ্কের ক্লান্তিকে দূর করে। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে দুর্বলতা এবং ডিমেনশিয়া হয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘন্টা বিশ্রাম নিন।
খাবার: কিছু খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্ককে সজীব রাখে। ফল, শাকসবজি, শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খাবার শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়ের জন্যই প্রয়োজনীয়। এসব সুষম খাদ্য কাজে মনোযোগী হওয়ার অংশকে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি মস্তিষ্ককে অলস করে দেয়।
এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়। ব্লুবেরি, শাক, গ্রিণটি, ডিম এবং আখরোট ইত্যাদি খাবারে এই উপাদানগুলো থাকে।
কাজের চাপ: অতিরিক্ত চাপ মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বেশি কাজের চাপ নিলে মস্তিষ্ক কোষে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা কমার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তিও নষ্ট হতে পারে! স্ট্রেস এড়াতে, যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মতো চর্চা করুন। এতে মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ে এবং উদ্বেগও কমে।
যোগাযোগ: কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে সহকর্মীদের সাথে গল্প করুন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা বিশ্রাম পাবে। ফলে কাজের জড়তা কেটে যাবে।
তথ্যসূত্র: রাফেল’স হেলথ