বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান- জীবনে সফল হতে আবশ্যকীয়। যার জ্ঞান বুদ্ধি যত বেশি তার সম্মান এবং সুপরিচিতিও আকাশচুম্বী। অধ্যাবসায়ী ব্যক্তিরা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই সুপ্রতিষ্ঠিত হতে চায়।
গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের প্রস্ফুটন জানান দেয়, বসন্তের আগমনে মাঘের যাওয়ার সময় হয়েছে। মাঘ মাসেই বিদ্যার দেবী মর্ত্যে আসেন। সনাতন ধর্মমতে, সরস্বতী বিদ্যার দেবী। দেবীকে বাসন্তী নামেও ডাকা হয়। জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীরা মায়ের কাছে আশির্বাদ প্রার্থনা করে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই দিনে আনন্দঘন হয়ে ওঠে। দেবীর অর্চনায় মন্ডপ সেজে ওঠে।
শীতের ২য় মাস মাঘের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি আজ। এই দিনে প্রতিবছর বসন্তী পঞ্চমী পালন করা হয়। দেবী সরস্বতী জ্ঞান,বুদ্ধি এবং বিদ্যার দেবী। ফুটন্ত পদ্মফুলের উপর বিচরণ করেন দেবী। তার বাহন রাজহংস। শুভ্র বা বাসন্তী বসনে দেবীর কোমল সৌন্দর্য্য প্রকাশ পায়। তার একহাতে বিদ্যার ভাণ্ডার পুস্তক। অন্য হাতে বীণা থাকায় দেবী হয়েছে বীণাপাণি।
ফুল, বেলপাতা, দুর্বা, উপঢৌকন এবং দোয়াত-কলম উৎসর্গ করে দেবীকে তুষ্ট করা হয়। খাগ কপালে ঠেকিয়ে দেবীর কাছে প্রজ্ঞা প্রার্থনা করা হয়। শিল্পের দেবী চার হাতে আশির্বাদ করেন ভক্তদের।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ছোট শিশুদের বিদ্যার সূত্রপাত করা হয় দেবীর আশির্বাদ নিয়েই। ব্রাহ্মণ পূজারির সাহায্যে দেবীর সামনে হাতেখড়ি দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয়, এতে শিশুর শিক্ষাজীবনে সর্বদা দেবীর আশির্বাদ বিরাজ করবে।