‘বিন্দু বিন্দু বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল; গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল!’ ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে অনেক সময় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসা অসম্ভব নয়। ব্যস্ততাপূর্ণ এই যুগে সকলেই নানাকাজে ব্যস্ত। ঘরে-বাইরে কাজের চাপে অনেক সময়, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে অনেকেই।
ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা যায়। সুস্থতা বিশেষজ্ঞ প্রকৃতি পোদ্দার এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অসীমা রঞ্জন এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। যেসব পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে বলে জানান-
শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল নিয়ন্ত্রণ: দেহ ও মানসিক স্বাস্থ্যকে শিথিল করতে শ্বাস-প্রশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্যায়াম চর্চার মাধ্যমে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের মস্তিষ্ক কতটা অক্সিজেন পাচ্ছে তা দ্বারা তার কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হতে পারে। তাই, কাঠামোগত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ: মানুষের জীবনে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের চিন্তার প্রভাব থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, মানুষের মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলো গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। এতে আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে। নিজের সফলতার সীমানা মানুষ নিজেই পরিমাপ করতে ভুল করে। তাই, নিজের নেতিবাচক চিন্তাগুলো দূরে সরিয়ে দেওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে।
উদ্দীপনা সীমিতকরণ: পর্যাপ্ত বিশ্রাম যেকোনো মানুষের সুস্থ থাকার জন্য আবশ্যক। একটানা শুধু বিশ্রামবিহীন কাজ করে গেলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন করা উচিত।
আত্মপ্রীতি: সবকিছুর আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। প্রায়ই আমরা অন্যদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের ভালোবাসতে ভুলে যাই। তাই নিজের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার অভ্যাস গড়তে হবে। নিজেকে দোষ দেওয়া এবং নিজেরই বিচার করার মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮