ঠিক একইভাবে কাজ করে সকালে খালি পেটে পানি পান করা। সাধারণত সবসময় উপদেশ দেওয়া হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের জন্য। কারণ পানি শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা সচল রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। সেই উপকারিতার মাত্রা আরও খানিকটা বৃদ্ধি পায় সকালে খালি পেটে পানি পান করলে।
সাধারণত এই নিয়মটি জাপানে খুব কঠোরভাবে মানা হয়। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম।
১. সকালে দাঁত মাজার আগেই একদম খালি পেটে ৬০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি ঘরোয়া তাপমাত্রার হলেই হবে। ঠাণ্ডা বা গরম পানির প্রয়োজন নেই।
২. পরবর্তিতে দাঁত মাজার ৪৫-৬০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া যাবে না।
৩. নাস্তা করার পরবর্তী ২ ঘণ্টার মাঝে কিছু খাওয়া যাবে না।
খুবই সহজ এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে পাওয়া যাবে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। তার মাঝে কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
পেট পরিষ্কার ও সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে এটা অন্যতম চমৎকার একটি উপায়। আপনি যদি পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে টানা এক সপ্তাহ উপরের নিয়ম মেনে চললেই লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা দিবে।
গ্রহণকৃত খাদ্য ‘ফুড পাইপ’ এর ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় খাদ্যের ধ্বংসাবশেষ (Debris) পাইপের দেওয়ালে রয়ে যায়। সকালে খালি পেটে পানি পানের ফলে ফুড পাইপ ভালোভাবে পরিষ্কার হবার সুযোগ পায়।
খালি পেটে পানি পানের ফলে পাকস্থলী ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে একেবারে খালি হবার সুযোগ পায়। এতে করে ক্ষুধাভাব বৃদ্ধি পায় এবং খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেওয়া। পানিস্বল্পতা দেখা দিলে শরীরের কোষ তার কার্যকারিতা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারে না, ফলে দেখা দেয় মাথাব্যথা। পানি পান, বিশেষত খালি পেটে পানি পানের ফলে কোষ তার প্রয়োজনীয় পানি পেয়ে যায়। ফলে সহজে পানিস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয় না।
একেবারেই ক্যালোরিবিহীন কিছু খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে চাইলে অবশ্যই পানি পান করতে হবে। ঠিক এই কাজটাই একেবারে খালি পেটে করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। যা একইসাথে পেটফোলা ভাব দূর করবে এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। ফলে ওজন কমবে খুব দ্রুততার সাথে। যদি বাড়তি ওজন দ্রুত ঝড়াতে চান তবে পানির সঙ্গে দুই টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যাভাসের যে পাঁচ বদভ্যাসে কমছে না ওজন
আরও পড়ুন: শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব!