আবারও নতুন দুটি শাখা উদ্ধোধনের মাধ্যমে দ্রুত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে ফ্যাশন হাউজ মাইক্লো বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে ঢাকা ও নরসিংদীতে এক যোগে ৮টি শাখা খুলে চমকে দেওয়া এই নতুন রিটেইল ফ্যাশন ব্রান্ড।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে ঢাকার মিরপুর ও উত্তরায় বড় দুটি শাখার উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে নিয়মিত আমাকে দেখতে পাবেন এ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড মাইক্লো বাংলাদেশের সঙ্গে। আশা করছি ভালো কিছু হবার ও নতুন কিছু হবার এবং নতুন চমকের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড মাইক্লো বাংলাদেশ জাপানের যাপিতজীবন, সরলতা আর প্রযুক্তি- অনুরাগে প্রাণিত। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত ও পছন্দের নিত্যদিনের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে এই ব্র্যান্ড।
উভয় শাখার উদ্বোধনী শেষে মাইক্লোর ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ইনোভেশন অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের পরিচালক বাবু আরিফ বলেন, `এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানের নিত্যদিনের পোশাক এবং বিক্রয়সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এই লক্ষ্যে দেশজুড়ে সকল ক্রেতাদের হাতে পছন্দের নিত্যদিনের পোশাক পৌঁছে দেওয়ার জন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এখন থেকে ক্রেতারা ২৪/৭ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কেনা কাটা করতে পারবেন আরও নির্বিঘ্নে।'
তিনি আরও বলেন, জাপানি পোশাক, লাইফস্টাইল ও মান দ্বারা অনুপ্রাণিত মাইক্লো বাংলাদেশ। ফলে জাপানি মান আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বাবু আরিফ আরও বলেন, একইভাবে পোশাক তৈরি ও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমি বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই দাম, মান ও চাহিদা বিবেচনায় সর্বসাধারণের প্রিয় পোশাক ব্র্যান্ডই নয় বরং ফ্যাশনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে মাইক্লো।
মাইক্লোতে আন্তর্জাতিক মানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করতে চান প্রতিষ্ঠানটির মার্চেন্ডাইজিং, সেলস, হিউম্যান রিসোর্স ও স্টোর অপারেশনের পরিচালক এ এইচ এম আরিফুল কবির। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে মাইক্লো বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করা।
বাংলাদেশের দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে মাইক্লো বাংলাদেশের যাত্রাকে পোশাক ব্র্যান্ডের নবজাগরণ বলে মন্তব্য করেছেন মাইক্লো’র গ্লোবাল বিজনেসের পরিচালক অদাহিরো ইয়ামাগুচি।
উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘মাইক্লো বাংলাদেশ নামে আমরা কেবল একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড চালু করিনি; বরং আমরা এই ক্ষেত্রে নবজাগরণ এর সূচনা ঘটিয়েছি। কারণ আমাদের কার্যক্রম ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা ও স্থায়ীভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে ধারণ করে।’
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই দুটি শাখায় ক্রেতাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় উপহার ও সব পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড়। এছাড়াও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের উদ্ধোধন উপলক্ষ্যে থাকছে ফ্রি হোম ডেলিভারী ও বিশেষ পণ্যের উপর মূল্যছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহার।
এই দুটি শাখার সংযোজনে মাইক্লো বাংলাদেশের শাখা সংখ্যা হল ১১টি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পণ্য ও সেবা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাইক্লো বাংলাদেশ। এজন্য দ্রুততম সময়ে দেশজুড়ে আরও শাখা চালু করবে মাইক্লো বাংলাদেশ।