ইসলামী চন্দ্রদিনপঞ্জিকার নবম মাস, ‘রমজান’ শুরু হতে চলেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই মাসকে পবিত্রভাবে পালন করে। ঈদ-উল-ফিতরের আগের এই এক মাস তারা সংযম চর্চা করে রোযা রাখে। ভোর রাতে ফজরের শেহরী করার পর সারাদিন অনাহারে থেকে রোযা পালন করা হয়। মাগরিবের সময় ইফতারের মাধ্যমে রোযা শেষ করা হয়। এই সময় থাকে নানারকম খাবারের মহাভোজের আয়োজন থাকে। ৪ সপ্তাহ পর ঈদ-উল-ফিতরের মাধ্যমে মহানন্দের এই পবিত্র উৎসব শেষ হয়।
এই দীর্ঘ সময়কাল মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। পবিত্র রমজান মাস আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি, আত্ম-উন্নতি এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার সুবর্ণ সুযোগ।
রমজান মাস সংযমের মাস। সংযম মানে শুধূ রোযা রেখে না খেয়ে থাকা নয়, সম্পূর্ণ শরীর এবং আত্মারও সংযম। তাই রোযা পালনের পাশাপাশি, মুসলিমরা কিছু কঠোর নির্দেশিকা এবং নবী মোহাম্মদের শিক্ষা অনুসরণ করেন। এই সময় গুলোতে সংযমের জন্য যা যা করণীয়:
১. দিনে অন্তত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। সময়- সুযোগ থাকলে অধিক সওয়াবের জন্য অতিরিক্ত ওয়াক্তের নামাজও পড়তে পারেন।
২. পবিত্র রমজান মাসে গরীব এবং সুবিধাবঞ্চিতদের যথাসম্ভব জাকাত (দান) প্রদান করুন। যদিও সারা বছর এই নিয়ম পালন করা উচিত।
৩. ভোরবেলা সেহরির সময় এবং সন্ধ্যার পর ইফতারের পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোজা পালন করুন।
৪. কুরআনের পবিত্র গ্রন্থ তিলাওয়াত করুন। যথা সম্ভব মুখস্থ করুন এবং আয়াতগুলোর অর্থ অনুধাবন ও মূল্যায়ন করুন।
৫. আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তার সকল দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
৬. রোযা রাখার সময় বিনয়ী ও ধৈর্য্যশীল হউন।
৭. নামাজ পড়ার সময় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এমনকি শত্রুরও মঙ্গল কামনা করুন।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮