রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা ও উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। তবে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জেনে রাখতে হবে জরুরি একটি তথ্য। কোলেস্টেরল দুই প্রকারের হয়ে থাকে। ভালো কোলেস্টেরল (HDL) ও খারাপ কোলেস্টেরল (LDL). ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই শারীরিক সমস্যা ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করে।
কিছু খাদ্য উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে দিলেও, কিছু উপকারি খাদ্য উপাদান এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদানের নাম জেনে রাখুন।
খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আঁশযুক্ত খাবার সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করে। সেক্ষেত্রে ওটস থাকবে সবচেয়ে উপরের দিকে। ওটসের প্রায় ১১-১৫ শতাংশ হলো দ্রবণীয় আঁশ। ওটসের আঁশকে বলা হয় বেটা-গ্লুকেন, যা ফ্যাটকে শোষণ করে নিতে কাজ করে। সকালের নাস্তায় উপকারি অন্যান্য ফলের সঙ্গে এক বাটি ওটস হতে পারে সবচেয়ে ভালো নাস্তার খাবার।
বিচিযুক্ত অন্যান্য যেকোন সবজির চাইতে মটরশুঁটিতে অনেক বেশি মাত্রায় থাকে দ্রবণীয় আঁশ। মটরশুঁটি গ্রহণের পর হজম হতে লম্বা সময় প্রয়োজন হয় বলে, ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। যে কারণে শুরু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও মটরশুঁটি সমান উপকারিতা বহন করে।
সবজির মাঝে বেগুনে দ্রবণীয় আঁশের মাত্রা বেশি থাকে। যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে দ্রুত শোষণ করতে কাজ করে।
বেশ কয়েকটি গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে যে- কাঠবাদাম, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন ধরণের বাদাম প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে খাওয়ার ফলে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার প্রবণতা কমে যায়। প্রতিদিন ২ আউন্স পরিমাণ বাদাম রক্তে LDL এর মাত্রা ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমায়। এছাড়া বাদাম গ্রহণের বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য উপকারিতা তো আছেই।
প্রাকৃতিক সকল প্রকারের ফলে আঁশ থাকলেও, আপেল, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ঘরানার ফলে দ্রবণীয় আঁশ থাকে বেশি। এছাড়া ফলে উপস্থিত পেকটিন রক্তের LDL কে শোষণ করে এবং HDL কে অ্যাকটিভ করে। এছাড়া লেবু, জাম্বুরা কিংবা কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ঘরানার ফলও কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
রেড মিটের বদলে খাদ্যাভাসে তৈলাক্ত মাছ রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। রেড মিটের স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে LDL এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে তৈলাক্ত মাছের অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইদের মাত্রা কমিয়ে কোলেস্টেরলকে স্বাভাবিক রাখতে এবং হার্টবিট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: যে খাবারগুলো কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী
আরও পড়ুন: পাঁচ উপকারি মশলার পঞ্চকথা