তবে প্রাকৃতিক প্রায় সকল খাবারই কোন না কোন স্বাস্থ্য গুণ বহন করে। মজার বিষয় হলো- উপকারী কিছু খাবার একসাথে গ্রহণের ফলে, তার উপকারিতার মাত্রা বেড়ে যায় বেশ অনেকটা। এই সকল খাবার একসাথে খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ভিডিও গেইমে বহুল ব্যবহৃত ‘ডাবল ডোজ’ কথাটি এক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে যায় বিধায়, খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই ডাবল ডোজ টার্মটি। আজকের ফিচার থেকে জেনে রাখুন এমন কয়েকটি খাবারের সমন্বয়, যা একসাথে খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে দ্বিগুণ।
সালাদের সঙ্গে নিশ্চয় হার্ড বয়েলড ডিম খাওয়ার কথা কখনোই ভাবেননি। মজার ও অদ্ভুত হলেও এই দুইটি খাবার একসাথে খেলে উপকারিতা মিলবে অনেক বেশি। ডিমের কুসুমের ফ্যাটকে শোষণ করতে সাহায্য করে ক্যারোটেনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি। ২০১৫ সালে দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ডিমের কুসুম নিয়মিত খাওয়ার প্রতি জোর দেওয়া প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি সহ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, মন ভালো রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদাম রাখার জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দইয়ের উপকারিতার শেষ নেই। তবে যখনই দই খাবেন, কয়েকটি কাঠবাদাম যোগ করে নিবেন সঙ্গে। কাঠবাদাম দইয়ের ভিটামিন-ডি এর মাত্রা ৩২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হলুদের হলদে আভাতে শুধু সৌন্দর্য নয়, রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক কারকিউমিন। তবে সমস্যাটি হলো, উপকারি এই উপাদানটি শরীরে শোষিত হতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেখা গেছে গোলমরিচের গুঁড়ার সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় গ্রহণে এটা শোষিত হবার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ২,০০০ শতাংশ পর্যন্ত।
নিরামিষাশী হয়ে থাকলে যথাযথ প্রোটিন গ্রহণের প্রতি মনযোগী হতে হবে। সেক্ষেত্রে এক বাটি লাল চালের ভাত ও ডাল হবে সবচেয়ে উপকারি খাদ্যের সমন্বয়।
রসুন ও পেঁয়াজ চালে থাকা আয়রন ও জিংকের উপস্থিতির মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এই দুইটি প্রাকৃতিক উপাদানে থাকা সালফার সমৃদ্ধ অ্যালিয়াম মিনারেলের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেছে পুষ্টিবিদেরা।
উপকারি পানীয়ের মাঝে গ্রিন টির উপকারিতা নিয়ে আলাদাভাবে বলাই বাহুল্য। এতে লেবুর রস যোগ করার ফলে, গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি এর মাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। এছাড়া এই মিশ্রণের পানীয় পাকস্থলী সুস্থ রাখতেও কাজ করে।
অনেকেই নিয়মিত বাদাম খেয়ে থাকেন। সেই অভ্যাসটাকে কিছুটা পরিবর্তিত করে গড়ে তুলতে হবে পেস্তাবাদাম ও কিশমিশ একসাথে খাওয়ার অভ্যাস। এতে শরীরের মেটাবোলিজমের হার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও কমে যায় বলে জানাচ্ছে নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা। এছাড়া খাদ্য উপাদান দুইটি একসাথে খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কেন খাবেন কাঠবাদাম?
আরও পড়ুন: কাঁচা খাওয়া যাবে না যে খাবারগুলো