প্রকৃতিকে জানান দিয়ে চলে আসবে ফাগুন হাওয়া। উৎসবের এই দিনটিতে সকলেই থাকবে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে। প্রতিটা দিন নিশ্চয় বসন্তের প্রথম দিন হয় না! তাইতো বসন্তর প্রথম দিন মানেই উৎসবের উপলক্ষ্য। এই দিনে প্রকৃতির বর্ণীল রঙের ছোঁয়া পড়বে নারী-পুরুষের পোশাকেও।
ক্লাস, কাজ কিংবা ব্যস্ততার মাঝে ঠিকই সময় বের করে বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন কিংবা পরিবারের মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে বেরিয়ে যাবে সকলেই। পহেলা বসন্তের আনন্দ বলে কথা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, অফিস- সবখানেই মানুষের সমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করবে। বইমেলার জন্য বসন্ত আয়োজনের রঙ ছড়াবে আরও কিছুটা বেশি। তবে ফাগুনের দিনে বাইরে বেরুতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন হবে নিজের সুরক্ষার স্বার্থেই।
কংক্রিটের এই শহরে যতই ফাগুনের ছোঁয়া লাগুক না কেন, নিত্যদিনের ধুলাবালিকে এড়ানো সম্ভব নয় একেবারেই। তাই সাথে মাস্ক রাখুন সবসময়ের জন্য। বিশেষত বইমেলার দিকে যাওয়া হলে মাস্ক ব্যবহার করা লাগবেই। নতুবা প্রচন্ড ধুলাবালি নিঃশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে ঠাণ্ডার সমস্যা তৈরি করবে। এছাড়া যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য মাস্ক বহন করা আবশ্যিক।
ফাগুনে বাইরে বের হলে প্রায় প্রতিটি নারীর মাথাতেই ফুলের ব্যান্ড বা মুকুটের দেখা পাওয়া যাবে। এই ফুলের ব্যান্ড কেনার পর অবশ্যই ভালোভাবে দেখে মাথায় পরতে হবে। ফুলের সঙ্গে পোকামাকড় থাকতেই পারে। নয়তো মুকুট তৈরির তার বা পিন বিপদজনকভাবে বের হয়ে থাকতে পারে। যার ফলে আহত হবার সম্ভবনা থাকে। আনন্দের উপলক্ষ যেন কোনভাবেই সমস্যাময় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সকাল-দুপুরের দিকে বাইরে ঘোরার পরিকল্পনা থাকলে সঙ্গে অবশ্যই ছাতা রাখতে হবে। বাইরের প্রবল রোদের তান্ডবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া সানবার্ন হবার সমস্যা তো রয়েছেই।
বেশি হাঁটাহাটি করা হলে পরিধানের জন্য আরামদায়ক জুতা বা স্যান্ডেল পছন্দ করতে হবে। বিশেষত নতুন জুতা পড়া হলে সঙ্গে ব্যান্ড-এইড রাখতে হবে। যদি পায়ে ফোসকা পড়ে যায়, তবে কাজে লাগবে।
এছাড়া সঙ্গে পানির বোতল ও টিস্যু পেপার রাখার ক্ষেত্রেও মনযোগী হতে হবে। এছাড়া হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ ও পকেটে থাকা ওয়ালেটের বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। জনবহুল এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্কতার উপরে কিছু নেই।
খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে বলতে হবে, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিদিন যতই খাওয়া হোক না কেন বাইরের খাবার, আগামীকাল বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিনটাই মাটি হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করুন ভালো কোন রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার।
আনন্দময় দিনটি কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্দময়ভাবে কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা। আগাম পহেলা ফাগুনের শুভেচ্ছা সকলের জন্য।