অপরিষ্কার থাকার সঙ্গে অসুস্থতা যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে কিছু মানুষের মাঝে পরিষ্কার থাকার প্রবণতাটি তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই খুব বেশী খুঁতখুঁতে এই বিষয়টি নিয়ে। এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে প্রতিনিয়তই জীবাণুমুক্ত থাকতে যুদ্ধ করতে দেখা যায় তাদের।
তবে জীবাণু থেকে দূরে থাকার জন্য অনুসরণ করা অধিকাংশ পদ্ধতি যে কার্যকারী নয়, তা হয়তো জানা নেই অনেকের। এই ফিচারে তুলে ধরা হচ্ছে জীবাণুমুক্ত থাকার অকার্যকর কয়েকটি পদ্ধতি।
পাবলিক টয়লেটের হাই কমোড ব্যবহার করার সময় অনেকেই কমোডের প্যানের উপরে টিস্যু পেপার বিছিয়ে তার উপরে বসেন। এই টিস্যু পেপার প্যানে লেগে থাকা পানি শোষন করে আর সেই সাথে পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলোও টিস্যুতে চলে আসে। ফলে পরে যখন সেই টিস্যুটি তুলে ফেলে দেওয়া হয় তখন সেই টিস্যুর জীবাণু গুলো এর ব্যবহারকারীর হাতে চলে আসে।
হাত থেকে শুকনো কোন খাবার পড়ে গেলে চট করে আবার তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলেন অনেকে। এমনটা করার কারণ- পাঁচ সেকেন্ডে মাঝে শুকনো খাবারে জীবাণুর সংক্রমণ হয় না বলে ভাবার কারণে। অনেকের মাঝেই এই ভুল ধারণাটি আছে। আদতে এটি আসলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ মাটিতে থাকা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামিত হতে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে।
আমাদের মধ্যে বেশী খুঁতখুঁতে মানুষগুলো লিফটের বোতাম প্রেস করার জন্য সরাসরি আঙ্গুল ব্যবহার না করে আঙ্গুলের গাঁট ব্যবহার করেন। যেনো লিফটের বোতামে থাকা জীবাণু তাদের হাতে না লাগে। কিন্তু জীবাণু খুব সহজেই এবং কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আঙ্গুলের গাঁট দিয়ে বোতাম চেপে আসলে জীবাণুর সংক্রামণ রোধ করা যায় না।
হাত পরিষ্কার রাখতে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্ড ওয়াশ লিকুইড সোপ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিরও কারণ। কারণ এই জেল বা সোপগুলো হাতের ক্ষতিকর জীবাণুগুলোর পাশাপাশি ত্বকের জন্য উপকারী জীবাণু গুলোকেও ধ্বংস করে দেয়।
আমাদের সামনে কেউ হাঁচি-কাশি দিলে আমরা দ্রুত নাক বা মুখ চেপে ধরি। যেনো কোন জীবাণু আমাদের শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ না করে। কিন্তু আমাদের শরীরের বেশীর ভাগ জীবাণু সংক্রামিত হয় হাতের মাধ্যমেই। তাই যখন জীবাণু প্রবেশ রোধে আমরা হাত দিয়ে চোখ, মুখ চেপে ধরি, তখন নিজেদের অজান্তেই ক্ষতিকর জীবাণুকে আমাদের দেহে প্রবেশের সুযোগ করে দেই।
আরও পড়ুন: সঞ্চয়ী হতে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি
আরও পড়ুন: কী থাকবে সকালের নাস্তায়?