দূর্ঘটনাগুলোর জন্য আমরা অনেকাংশেই দায়ী করে থাকি পরিবহন চালকদের। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনার জন্য শুধু চালক নয়, দায়ী অসচেতন নাগরিকও।
সড়কে চলাচলের জন্য আমাদের প্রত্যেকের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। এই নিয়মগুলো না মানার ফলেই অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন ধরণের ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়।
সড়কে চলার সময় সাধারণ নিয়ম গুলো মেনে চললে অনেকাংশেই দূর্ঘটনা রোধ করা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তেমন কয়েকটি মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো।
রাস্তায় হাঁটা বা মোটরসাইকেল চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে কানে হেডফোন লাগিয়ে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালান। কানে হেডফোনে লাগিয়ে গান শোনার সময় বা কথা বলার সময় আমাদের মন গাড়ি চালানো থেকে অনেকটাই সরে যায়। ফলে পেছনের গাড়ির হর্ন বা সিগনাল চালক বা পথচারীকে সতর্ক করতে পারেনা। রাস্তা পারাপারের সময়ও মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নইলে এর কারণে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের যেকোন দুর্ঘটনা।
বাস বা মাইক্রোবাসে উঠলে অনেকের মাথা ঘোরে বা বমি ভাব দেখা দেয়। বমি করার সময় কোন দিকে না তাকিয়ে সরাসরি জানালা দিয়ে মাথা বের করে বমি করা ঠিক নয়। এর ফলে একদিকে যেমন নিজের ক্ষতি হতে পারে তেমনি পিছনে থাকা গাড়ি বা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীও বিপদে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
অনেক সময় আমরা পানি খেয়ে খালি বোতল গাড়ি থেকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলি। এই বোতল রাস্তার পথচারী বা দ্রুতগামী গাড়ির জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। এছাড়া রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলার জন্য আমাদের রাস্তাও নোংরা হচ্ছে। তাই নির্ধারিত স্থান না পাওয়া পর্যন্ত বোতল, চিপসের প্যাকেট প্রভৃতি সংরক্ষণ করতে হবে এবং যথাস্থানে ফেলতে হবে।
একা অথবা ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় হাঁটার সময় গাড়ি যে দিক থেকে আসবে বা চলাচল করবে তার উল্টোদিক বরাবর হাঁটতে হবে। এতে করে গাড়ির গতি ও দিকনির্দেশনা বোঝা যাবে।
রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। রাস্তায় লাল বাতি জ্বললে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে।
আরও পড়ুন: জীবাণুমুক্ত থাকার পদ্ধতিগুলো কী সঠিক?
আরও পড়ুন: সঞ্চয়ী হতে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি