সেই সঙ্গে বেড়ে যায় মানসিক চাপ। একটা সময়ে এই মানসিক চাপ যেন জীবনের একটি অংশই হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ও অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ জীবনের উপরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দিতে পারে। মানসিক ও শারীরিক বহুদিন সমস্যার শুরু হতে পারে এই চাপ থেকেই।
মানসিক চাপের ফলে কর্টিসল নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে হুট করেই মেজাজের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা দেখা দেওয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া করা সহ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও দেখা দেয় দিয়ে থাকে।
সবার জীবনেই ব্যস্ততা ও কাজের চাপ থাকবে। তার মাঝেও কীভাবে নিজের মানসিক চাপকে কমিয়ে রাখা যাবে সেটা জানতে হবে ও বাস্তব জীবনে সেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে হবে।
মানসিক চাপের সঙ্গে খাদ্যাভাসের বিষয়টি অনেকখানি নির্ভরশীল। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি ও শক্তি পেয়ে যায়। ফলে প্রচুর কাজের মাঝেও শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকা সম্ভব হয়।
ঘুমের সাথে কোন ধরণের ছাড় দেওয়া চলবে না মোটেও। সারাদিনে ক্লাস, অফিস, বাস, যাতায়াতের ফলে বিশ্রাম নেওয়ার অবসর পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে সারাদিনের ক্লান্তিকে দূর করার জন্য রাতে সাত-আট ঘন্টার পরিপূর্ণ ঘুম আবশ্যক। ঘুম ঠিকভাবে হলে পরদিন সকালে একদম ফ্রেশ ও রিচার্জড বোধ হবে। ফলে মানসিক চাপেও নিজেকে ঠিক রাখা সম্ভব হবে।
মেডিটেশন শরীর ও মনের উপরে ইতিবাচ প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে প্রশান্তি ভাব কাজ করে, মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। শরীর ও মন সুস্থ থাকে। প্রতিদিন সকালে অন্তত আধা ঘন্টার মেডিটেশন পুরো দিনের কাজ ও ব্যস্ততার জন্য আপনাকে তৈরি করে দিবে।
মেডিটেশনের মতোই মানসিক প্রশান্তি তৈরি করে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে গান শোনার অভ্যাসটি। গান শোনার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন নেই। কাজের মাঝেও পছন্দের দু-একটি গান শুনে নিতে পারেন সহজেই।
আমরা এই বিষয়টির প্রতি যতটা অবহেলা করি, এই বিষয়টি কিন্তু ততটাই জরুরি আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে। শুধু কাজের জন্য নয়- ব্যক্তিগত, পারিবারিক নানান কারণেই মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে কাছের বন্ধুর সাথে কথা বলার মাধ্যমে কোন সমাধান তৈরি না হলেও মানসিকভাবে অনেকখানি ভারমুক্ত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদে বাড়বে স্মৃতিশক্তি
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন!