সবচেয়ে সহজলভ্য মাছ হলো রুই। পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাতের সঙ্গে রুই মাছের পদ মানিয়ে যাবে খুব দারুণভাবেই। তাই এই বৈশাখে ইলিশ মাছ ছাড়াও অন্যান্য সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যের মাছ দিয়ে তৈরি করা যাবে নানা ঘরানার মুখরোচক মাছের পদ। বার্তা লাইফস্টাইলের আয়োজনে আপনাদের জন্য থাকবে ইলিশ ব্যতীত অন্যান্য মাছের বিভিন্ন ধরনের পরিচিত ও অপরিচিত মাছের রেসিপি।
ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজকের পর্বে দেখে নিন রুই মাছের কালিয়া তৈরির একেবারেই সহজ রেসিপিটি।
১. ১০ টুকরা টাটকা রুই মাছ।
২. ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৩. ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৪. ১/৪ চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৫. ১/২ চা চামচ আদা বাটা।
৬. ১/২ চা চামচ রসুন বাটা।
৭. ৪ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা।
৮. ৬-৭টি কাঁচামরিচ।
৯. ১/২ কাপ টকদই।
১০. ১টি বড় টমেটো কুঁচি।
১১. ১ চা চামচ কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া।
১২. ১/২ চা চামচ গরম মশলা।
১৩. ১/২ কাপ ধনিয়া পাতা কুঁচি।
১৪. ১ চা চামচ কিসমিস বাটা।
১৫. স্বাদ ও পরিমাণমতো লবণ ও সরিষা তেল।
১৬. ১-২ চা চামচ ঘি।
১. রুই মাছের টুকরাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে আসলে এতে হলুদ, লবণ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করে একে একে মাছের টুকরোগুলো দুই পাশে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মাছগুলো খুব বেশি ভাজা যাবে না। একেবারেই হালকা করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
৩. মাছ ভাজা হয়ে গেলে একই কড়াইতে টকদইয়ের সঙ্গে গরম মশলা ও কাঁচামরিচ ব্যতীত অন্যান্য মশলা একে একে দিয়ে দিতে হবে।
৪. মশলা ভালোমতো কষানোর পর টেনে আসলে এতে এক কাপ পানি দিয়ে আবারো কষিয়ে নিতে হবে।
৫. মশলা কষানো হয়ে গেলে পুনরায় এক কাপ পানি দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো একে একে দিয়ে দিতে হবে।
৬. চুলার জ্বাল কমিয়ে কাঁচামরিচ দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। ঝোল টেনে আসলে উপরে ঘি ও গরম মশলা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশনের আগে মাছের উপরে ধনিয়া পাতা কুঁচি ছড়িয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি রাতে চিংড়ি খিচুড়ি
আরও পড়ুন: রাজকীয় ভেজিটেবল কাটলেট