এসো হে বৈশাখের ছন্দে ও ইলিশ পাতে শুরু হয় বাঙালির বছরের প্রথম দিনটি। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কেনার ধুম পড়ে যায় বাজারে। সেই সাথে ইলিশ মাছের দামটাও বেড়ে চলে যায় নাগালের বাইরে। কে বলেছে পহেলা বৈশাখের সকালে পান্তা-ইলিশই থাকতে হবে খাবারের পাতে!
ইলিশ মাছ ছাড়াও অন্যান্য সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যের মাছ দিয়ে তৈরি করা যায় নানা ঘরানার মুখরোচক মাছের পদ। বার্তা লাইফস্টাইলের আয়োজনে আপনাদের জন্য থাকবে ইলিশ ব্যতীত অন্যান্য মাছের বিভিন্ন ধরনের পরিচিত ও অপরিচিত মাছের রেসিপি।
ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজকের পর্বে দেখে নিন আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমের নতুন কাঁচা আম দিয়ে 'কাতল মাছের আম ঝোল' তৈরির রেসিপি।
১. ৬-৮ টুকরা কাতলা মাছের বড় টুকরা।
২. ২টি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
৩. ১/৪ ভাগ কাঁচা আম।
৪. ১ টেবিল চামচ আদা বাটা।
৫. ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা।
৬. দেড়-দুই চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৭. আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৮. আধা চা চামচ পাঁচ ফোঁড়ন।
৯. ১-২ টেবিল চামচ সরিষার তেল।
১০. ১ চা চামচ সরিষা বাটা।
১১. লবণ স্বাদমতো।
১. মাছের টুকরাগুলোতে লবণ ও হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে মাছের টুকরাগুলো লালচে করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
৩. এই তেলেই পাঁচ ফোঁড়ন ও পেয়াজকুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ লালচে হয়ে আসলে আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, সরিষা বাটা ও আমের টুকরা দিয়ে দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিতে হবে।
৪. চুলার জ্বাল বাড়িয়ে মশলা হালকা কষাতে হবে। মশলার পানি টেনে আসলে মাছের ভাজা টুকরো গুলো দিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আধা কাপ পানি দেওয়া যাবে।
৫. চুলার আঁচ কমিয়ে কড়াইয়ের মুখ ঢেকে রেখে দিতে হবে। মিনিট পাঁচেক পরে কড়াইয়ের মুখ খুলে দেখতে হবে। ঝোল টেনে আসলে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে মাছ নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈশাখের পাতে নোনা ইলিশের ভর্তা
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডিমের হালুয়ায় মিষ্টিমুখ