সেটা যদি হয় ক্যানসারের মতো রোগ, সেখানে নিশ্চয় কোন প্রশ্নই আসে না। কোন রোগই বলে কয়ে আসে না- এই বিষয়টি যতখানি সত্য, ঠিক ততখানিই সত্য হলো সুনিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থা ও সঠিক অভ্যাস যেকোন ধরনের ছোট-বড় রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থা কখনোই স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে না। সামান্যতম অনিয়ম থেকেও দেখা দিতে পারে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি রোগ। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৩,০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ছোবলে।
জেনে খুশি হবেন, কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে পারলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যানসারকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো এমন কয়েকটি নিয়ম যা শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ক্যানসারকেও দূরে রাখতে ভূমিকা পালন করবে।
ক্যানসার তৈরি জন্য প্রধান যে অভ্যাসটিকে দায়ী করা হবে, নিঃসন্দেহে সেটা হলো ধূমপান। থ্রোট ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, কিডনি ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের পেছনে দায়ী থাকে ধূমপান। এমনকি ধূমপায়ীর আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরাও ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকে বলেই, জনসম্মুখে ধূমপান করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, ধূমপানের ফলে শুধু আপনি নন, আপনার আশেপাশের মানুষও ক্যানসারের ঝুঁকিতে পড়ে। তাই এই বাজে অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে পুরোপুরি।
সুস্বাস্থ্যের উপর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ক্যানসারের উপস্থিতি এবং ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। সবুজ শাক-সবজি ও ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ শরীরে টক্সিন পদার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, যা কোষের ক্ষতির বিরুদ্ধে কাজ করে।
তাই চেষ্টা করতে হবে, প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ সবজি ও ফল খাওয়ার। উপকারী খাবারের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি পানের বিষয়েও সচেষ্ট থাকতে হবে।
সেই সাথে মনে রাখতে হবে, প্রসেসড ফুড থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার। ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড ক্যানসার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি করে।
গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, ধূমপানের পর বাড়তি ওজনের কারণে সবচেয়ে সংখ্যক মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। বাড়তি ওজনের ফলে হরমোনে তারতম্য দেখা দেয়। যা থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বেশ কয়েকটি ইন্সটিটিউশনের গবেষণা লব্ধ ফলাফল থেকে দেখা গেছে যে, প্রখর রোদের অতি বেগুনী রশ্মি স্কিন তথা ত্বকের ক্যানসারের জন্য দায়ী। সুস্বাস্থ্যের জন্য রোদের আলো প্রয়োজন হলেও, সকালে ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রোদের আলো এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ এ সময়ের রোদের আলোতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব থাকে। তাই এই সময়ে বাইরে অবস্থানকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং সঙ্গে ছাতা রাখতে হবে মনে করে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে প্রাত্যহিক যে সকল কাজে
আরও পড়ুন: ব্যস্ততা ও সুস্থতা থাকবে একসাথে!