সুস্বাদু ও জনপ্রিয় আলু ব্যতীত অনেক রান্নার কথা ভাবাই যায় না। এমনকি ভাতের সাথে শুধু আলু ভর্তা থাকলেও পেট পুরে ভাত খাওয়া হয়ে যায়। এছাড়া শর্করার অন্যতম প্রধান উৎস বলেও ভাতের পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণ আলু খাওয়া প্রয়োজন।
যেহেতু আলুর ব্যবহার হয় বেশি, তাই আলু নিয়ে সমস্যাটাও দেখা দেয় বেশি। অন্যান্য সবজি ও উপাদানের সঙ্গে আলু ছিলে-কেটে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে রেখে দিলেই দেখা যায়, আলুর বর্ণ লালচে-বাদামি বা ধূসর-বাদামি আকার ধারণ করেছে।
খোসা ছাড়ানো ও কেটে রাখা আলুর এমন রং পাল্টে যাওয়ার পেছনে রয়েছে খুবই স্বাভাবিক। কারণ আলুতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্টার্চ তথা শর্করা। যার ফলেই মূলত আলু কেটে রাখার দোষ মিনিটের মাঝেই রঙ পাল্টে যায়।
আলুতে থাকা স্টার্চ বাতাসের সংস্পর্শে আসার ফলে, বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে অক্সিডেশন (Oxidation) তৈরি করে। যার ফলে আলুর রঙে পরিবর্তন আসে। আলুর রঙ পাল্টে গেলেও এই আলু খাওয়ায় কোন সমস্যা নেই।
কেটে রাখা আলুর বাদামি বর্ণ ধারণ করার প্রসেস স্লথ করতে চাইলে, আলুর খোসা ছাড়ানো ও টুকরো করে কাটার পরপরই ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে। এতে করে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া অনেকটাই ধীর গতির হয়ে যায়। ফলে আলুর রঙে পরিবর্তন আসলেও তা অনেক সময় নেবে।
তবে শুধু ঠান্ডা পানি আলুর রঙ দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। ধরুন সকালে আলু কেটে রাখবেন বিকালে কোন নাশতা তৈরির জন্য, তবে আলু ভিজিয়ে রাখার জন্য পানির সাথে যোগ করতে হবে অল্প পরিমাণ অ্যাসিড। অ্যাসিড তথা এক চা চামচ লেবুর রস অথবা ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে আলু ভিজিয়ে রাখার ছয়-সাত ঘন্টার মাঝে আলুর রঙে কোন পরিবর্তন আসবে না। চিন্তা নেই, লেবুর রস কিংবা ভিনেগার আলুর স্বাদেও তেমন বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না।
এখন আলু নিজের সুবিধামতো সময়ে কেটে রেখে দিতে কোন সমস্যা নেই একেবারেই।
আরও পড়ুন: তিন ধাপে ঝামেলাহীন তরমুজ কাটা!
আরও পড়ুন: বেকিং সোডার চমৎকার ছয় ব্যবহার