জায়ফলের সুঘ্রাণযুক্ত উপকারী এই তেলটি সৌন্দর্যচর্চা থেকে শারীরিক পরিচর্যা, ত্বকের সমস্যা দূরীকরণসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদানসহ টি ট্রি অয়েলের চমৎকার ছয়টি উপকারিতা জেনে রাখুন আজকের ফিচার থেকে।
চোখের পাতার উপরাংশে ফুলে ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটিকে প্রচলিত ভাষায় বলা হয়ে থাকে অঞ্জনি। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও প্রদাহের কারণেই মূলত এই সমস্যাটি হয়। যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যাটি দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে টি ট্রি অয়েল। এক কাপ পানিতে ৪-৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণটি চোখের উপরাংশে দিতে হবে। বাকি মিশ্রণটুকু রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করে দিনের মাঝে কয়েকবার ব্যবহার করতে হবে।
টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান। না নখ শক্ত করতে কাজ করে ও নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি দূর করে। নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি মূলত দেখা দেয় ফাংগাল ইনফেকশনের জন্যেই। এছাড়াও নখের হলদেটে ভাব দূর করে টি ট্রি অয়েল। নখে ব্যবহারের জন্য ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সাথে তিন-চার ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নখে ম্যাসাজ করতে হবে। দশ মিনিট রেখে দেওয়ার পর কুসুম গরম পানিতে নখ ধুয়ে নিতে হবে।
নিয়মিত দাঁত মাজা কিংবা মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের পাশাপাশি মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে উপকারী ভূমিকা পালন করে টি ট্রি ওয়েল। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের বাজে গন্ধকে দূর করতে কাজ করে। প্রতিদিন দাঁত মাজার আগে টুথপেস্টে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে দাঁত মেজে নিতে হবে। এতে করে সপ্তাহখানেকের মাঝেই মুখের বাজে গন্ধ কমে আসবে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে যেমন মুখে বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনভাবেই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে শরীরে বাজে গন্ধ দেখা দেয়। এই সমস্যাটি দূর করতে টি ট্রি অয়েল, নারিকেল তেল, বেকিং সোডা ও কর্নস্টার্চ মিশিয়ে ন্যাচারাল ডিওডরেন্ট তৈরি করতে হবে।
উপরেই উল্লেখ করা হয়েছে, টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে খুব সহজেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এই এসেনশিয়াল অয়েলটি। যা ই. কোলাই, এইচ. ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ বেশ কিছু কমন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে দমন করে।
শরীরের যেকোন স্থান কেটে রক্ত বের হলে সেখানে সংক্রমণের সম্ভবনা দেখা দেয়। উন্মুক্ত কাটাছেঁড়ার স্থানে টি ট্রি অয়েল সেবনে ইনফেকশন দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। ব্যবহারের জন্য প্রথমেই কাটা স্থান ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সে স্থানে নারিকেল তেল ও টি ট্রি অয়েল একসাথে মিশিয়ে লাগাতে হবে। পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে। দিনের মাঝে দুইবার এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যাপল সাইডার ভিনেগার সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা
আরও পড়ুন: কেন চিপসের প্যাকেট অর্ধেক খালি থাকে?