গরমের দাপটে ক্লান্তি এসে ভর করলে তরমুজেই প্রশান্তি খোঁজে প্রাণ। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় তরমুজ কেনার সময়। বিশাল বড় এই ফলটি কিনতে গেলে দারুণ বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতে হয়। বাজারে ফলের দোকানে থরে থরে সাজানো চোখধাঁধানো সুন্দর তরমুজের মাঝে কোন তরমুজটি মিষ্টি হবে সেটা কোনভাবেই বোঝা সম্ভব হয় না।
তবে কৌশল জানা থাকলে কয়েকশ তরমুজের মাঝ থেকে সহজেই সবচেয়ে ভালো ও সুমিষ্ট তরমুজটি খুঁজে বের করা সম্ভব। তাই পরবর্তী তরমুজটি কেনার আগে ভালোভাবে জেনে নিন চমৎকার এই কৌশলটি।
তরমুজ কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখা চাই, কখনোই প্রথম তরমুজটি কিনবেন না। অর্থাৎ ফলের দোকানে প্রথম যে তরমুজটি চোখের সামনে পড়বে বা হাতে নিয়ে দেখবেন, সেটা কিনবেন না। কারণ অন্ততপক্ষে পাঁচ-ছয়টি তরমুজ না দেখলে একদম ‘সঠিক’ তরমুজটি বাছাই করা সম্ভব হবে না।
মিষ্টি ও ভালো তরমুজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রচলিত নিয়ম সকলেই জানেন। তরমুজের পেটের রং অফ হোয়াইট বা ঘিয়া রঙের হবে। তরমুজের খোসার রং কিছুটা ফ্যাকাশে হবে এবং খোসায় অনেকগুলো কালো ছোট-বড় স্পট বা দাগ থাকবে। এইসকল প্রচলিত নিয়ম ঠিক হলেও, সঠিক তরমুজটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন আরও একটি বিষয়। সেটা হলো তরমুজের ওজন।
সবসময় সেই তরমুজটিই কেনার জন্য বাছাই করতে হবে, যেটা ওজনে বেশ ভারি। নিশ্চয় বললেন যে- সব তরমুজই তো ওজনে ভারি হয়, এ আর নতুন কী!কিন্তু তরমুজের আকার যেমনটাই হোক না কেন, অর্থাৎ ছোট বা বড় যেকোন আকৃতির তরমুজই আকারের চাইতে ভারি হলে তবেই তা কেনা যাবে।
ভারি তরমুজ বাছাইয়ের পেছনে কারণ হলো, তরমুজের ৯২ শতাংশই হলো পানি। যে তরমুজটি যত বেশি ভারি, সেটা তত বেশি জ্যুসি, সুস্বাদু ও মিষ্টি হবে।
এছাড়া তরমুজটি সম্পূর্ণ পাকা কিনা বোঝার জন্য তরমুজের উপরে টোকা দিতে হবে। টোকা দেওয়া হলে যদি তরমুজ থেকে ফাঁকা শব্দ বের হয় তবে বুঝতে হবে তরমুজটি ভালোভাবে পেকেছে।
আরও পড়ুন: তিন ধাপে ঝামেলাহীন তরমুজ কাটা!