এমন কথা কস্মিঙ্কালে কেউ শুনেছে? কিন্তু এটাই সত্য ও সঠিক। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণ ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখতে হবে। তবে এই ফ্যাট হতে হবে ‘স্বাস্থ্যকর’ ফ্যাট। আমরা সাধারণত যে সকল খাবার থেকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট তথা ট্র্যান্স ফ্যাট গ্রহণ করি, তা অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্যে ও শারীরিক কার্যকলাপ সঠিকভাবে চালু রাখার জন্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করতে হবে। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন তেমন কয়েকটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারের নাম।
দুধ পান করতে একেবারেই পছন্দ করেন না? তবে এক পিস পনির খেতে ভুলবেন না যেন। খাঁটি দুধ থেকে তৈরি পনির হলো প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি১২ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসফরাসের উৎকৃষ্ট উৎস। এতে আরও রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ, যা টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাকে দূরে রাখতে কাজ করে।
মিল্ক চকলেট খাওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর না হলেও, পিওর ডার্ক চকলেট ত্বকের ক্ষতি ও হৃদরোগের প্রাদুর্ভাবকে দূরে রাখতে কাজ করে। মেডিক্যাল গবেষণা এমনটাই জানাচ্ছে ডার্ক চকলেট সম্পর্কে। উপকারী এই খাদ্যে উপস্থিত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, এসেনশিয়াল ফ্যাট ও অন্যান্য উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সচল রাখতে কাজ করে।
অনেকের এখনও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ডিম কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অথচ ডিমে থাকা ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখে না। উপরন্তু এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সুস্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি। চোখকেও সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে ডিমে থাকা কোলাইন। এছাড়া সবচেয়ে দারুণ বিষয়টি হলো, ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মিঠাপানির মাছ থেকে সামুদ্রিক সকল ধরনের মাছ থেকেই কম কিংবা বেশি মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা শারীরিক সুস্থতা ও ওজন কমানোর জন্য বিশেষভাবে উপকারী। মাছ থাকা লিন প্রোটিন খাদ্য পরিপাকেও সাহায্য করে থাকে।
সিড তথা বীজ থেকে পাওয়া যায় সানফ্লাওয়ার, অলিভ ও ফ্ল্যাক্সসিডস অয়েলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমূহ। যা ছোট-বড় সবার জন্যেই ভীষণ উপকারী। বিশেষত হাড়ের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে এই তেল নিয়মিত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম কিংবা কিশমিশ থেকেও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক ফ্যাট, যা খুবই স্বাস্থ্যকর। এসেনশিয়াল ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটগুলো সকালে কিংবা কিংবা বিকালের নাশতায় নিয়মিত ৭-৮টি খাওয়া উচিৎ।
ফলের মধ্যে এই একটি ফল থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়, যা ওলিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত। সুপারফুডটি আরও পাওয়া যাবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও পটাশিয়াম।
আরও পড়ুন: বুক জ্বালাপোড়া কমাবে যে খাবারগুলো