যদিও শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার দরুন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস তুলনামূলক দ্রুত ছড়িয়ে থাকে বলেই শীতকালে ঠান্ডার সমস্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, গরমেও ঠান্ডার সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে নানান কারণে।
প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ার দরুন শরীরে তুলনামূলক বেশি ঘাম হয়। বারংবার ঘাম হওয়া ও ঘাম শরীরে শুকিয়া যাওয়া ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে সহজেই ঠান্ডার সমস্যায় আক্রান্ত হতে হয়। গরমে ঠান্ডার সমস্যা এড়াতে যা জানা প্রয়োজন এখানে তুলে ধরা হলো।
গরম আবহাওয়ায় বাইরে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটলে শরীর ঘেমে যায়। ঘর্মাক্ত অবস্থায় এয়ার কন্ডিশন্ড স্থানে যাওয়া ও সেখানে দীর্ঘসময় থাকার অভ্যাসটি পরিহার করতে হবে। এতে করে ঘাম শরীরে স্বাভাবিক না শুকিয়ে ঠান্ডা হয়ে শুকায়। যা ঠান্ডার সমস্যাটি তৈরি করার জন্য দায়ী। চেষ্টা করতে হবে ফ্যানের শুকনো বাতাসে ঘাম শুকিয়ে নেওয়ার। এতে ঠান্ডার প্রকোপ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
গরমে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল পিপায় শীতল পানি পান করতে ইচ্ছা করবে। এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার মাঝে বরফ দেওয়া শীতল পানি পানের ফলে দেখা দেয় অসামঞ্জস্যতা। শরীর গরম আবহাওয়ার মাঝে শীতল পানি গ্রহণে প্রস্তুত থাকে না বলে, এ সময়ে শরীর খুবই নাজুক অবস্থায় থাকে। যার দরুন সহজেই ঠান্ডার সমস্যাটি দেখা দেয়।
হরমোনজনিত ও বংশগতভাবে অনেকেই হালকা গরম আবহাওয়াতেও অন্যান্যদের চাইতে তুলনামূলক বেশি ঘামেন। যার দরুন খুব অল্প সময়ের মাঝেই পুরো পোশাক ঘামে ভিজে ওঠে। এমন অবস্থায় চেষ্টা করতে হবে যতদ্রুত সম্ভব পোশাকটি বদলে ফেলতে। অতিরিক্ত ভেজা পোশাক দীর্ঘসময় গায়ে পরে থাকলে ঠান্ডার সমস্যাটি এড়ানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মাঝে তফাৎ রয়েছে। এমনকি তাদের বিস্তারের প্রক্রিয়াতেও রয়েছে ফারাক। গ্রীষ্মকালীন ঠান্ডা এড়াতে নিয়মিত হাত পরিষ্কারের অভ্যাসটি ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। বিশেষ করে কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে।
গ্রীষ্মকালে বহু ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও ঠান্ডার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডাস্ট অ্যালার্জি, সান অ্যালার্জি, পোলেন অ্যালার্জির মতো শুষ্ক আবহাওয়ার অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায় গ্রীষ্মকালে। এই ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা সম্পর্কে অবগত হতে হবে এবং সেইরূপ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
অনেকেরই ক্রনিক ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকে। ফলে একবার ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিলে তার রেশ রয়ে যায় অনেকদন পর্যন্ত। শীতকালে ঠান্ডার সমস্যাটি অনেক সময় প্রলম্বিত হয়ে গরম সময়েও চলে আসে। কিছুক্ষেত্রে তার লক্ষণ স্পষ্ট হয়, কিছুক্ষেত্র তা লুকায়িত থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ও নিয়ম মানতে হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় মাথাব্যথার সমস্যাটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে?
আরও পড়ুন: আর নয় একই তেলে বারবার খাবার ভাজা