ফলের আর্দ্রতা রক্ষা, ফল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ ও পচনশীলতার হার স্লথ করার জন্যে ব্যবহার করা হয় প্রিজার্ভেটিভ। এছাড়াও আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য ফলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে নানান ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ হুমকিস্বরূপ।
ফল খাওয়া হয় সুস্বাস্থ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই ফল যদি স্বাস্থ্যহানীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে বিষয়টি গোলমেলে হয়ে যায়। রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির দরুণ ফল খাওয়া বাদ থাকবে না নিশ্চয়। তবে ফল খাওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে ফলে যেন কোন ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি না থাকে।
আমরা সাধারণত ঠাণ্ডা পানিতে ফল লম্বা সময় ভিজিয়ে রাখি এবং ধরে নেই, এভাবেই ফল থেকে রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়ে যাবে। কিন্তু এতে করে ফলের সাথে থাকা রাসায়নিক পদার্থের খুব অল্প অংশই দূর হয় মাত্র। রয়ে যায় বেশিরভাগ অংশই। সঠিক নিয়মে ফল থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে চাইলে মানতে হবে সহজ একটি নিয়ম। যা ফলকে খাওয়ার উপযোগী করে তুলতে কাজ করবে।
এর জন্য প্রয়োজন হবে পানি ও সাদা ভিনেগার। চার ভাগ পানির সাথে এক ভাগ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে, মিশ্রণে ফলগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে আধা ঘণ্টার জন্য। আধা ঘণ্টা পর মিশ্রণ থেকে ফলগুলো তুলে কলের পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। ফল যদি আপেল, কমলালেবু, আমের মত মোটা খোসাযুক্ত হয় তবে ব্রাশের সাহায্যে হালকাভাবে ফলের উপরিভাগ ঘষে নিতে হবে। আঙ্গুর বা স্ট্রবেরির মতো পাতলা খোসাযুক্ত ফলের ক্ষেত্রে হাতের আঙুলের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সাদা ভিনেগার খুব সহজেই ফলে থাকা রাসায়নিক উপাদান, প্রিজার্ভেটিভ ও কীটনাশক দূর করতে কাজ করে। এছাড়াও ফলের খোসায় থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধনেও কার্যকর সাদা ভিনেগার। অনেকেই সাদা ভিনেগারের গন্ধ পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাদা ভিনেগারের পরিবর্তে লেবুর রস ব্যবহার করতে হবে এবং আধা ঘন্টার পরিবর্তে ঘন্তাখানেক সময় পানি ও লেবুর রসের মিশ্রণে ফল চুবিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া এই একই নিয়মে সবজি থেকেও রাসায়নিক উপাদান দূর করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
আরও পড়ুন: বেকিং সোডার চমৎকার ছয় ব্যবহার